আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাইয়ে একগুচ্ছ শর্তাবলি তৈরি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এবার ন্যূনতম ৩০০-৮০০ পরীক্ষার্থী থাকতে হবে। তার কম পড়ুয়ার জন্য কোনও স্কুলকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। তবে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি ও সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা অবশ্যই ব্যতিক্রম।
১০ কিলোমিটারের মধ্যে এই তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্র হতে হবে। পর্ষদ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত নানা নির্দেশিকা জেলা কনভেনর ও জয়েন্ট কনভেনরদের পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পরীক্ষা বিষয়ক যে কোনও ব্যবস্থাপনা ভীষণই গোপনীয়।
এরই পাশাপাশি, পর্ষদের অনুমোদিত কয়েকশো প্রাইভেট স্কুল থাকলেও এ বার সেখানে পরীক্ষাকেন্দ্র করা যাবে না। তবে রামকৃষ্ণ মিশন, খ্রিস্টান মিশনারি এবং আর্য সমাজের স্কুলগুলি ব্যতিক্রম। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ও পরীক্ষা চলাকালীন অবসর নেবেন এমন শিক্ষক-কর্মীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকার সন্তান মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হলে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।বিষয়টি আগাম অবহিত না করে ধরা পড়লে জেলা এবং জয়েন্ট কনভেনরদের উপরে সেই দায় চাপবে। এ ছাড়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত যাবতীয় গোপনীয়তা বজায় রাখতেও এই ব্যবস্থা। যে সব স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র হবে, সেখানকার প্রধান শিক্ষকদের ডিক্লেয়ারেশন দিতে হবে, পর্ষদের সম্মতি ছাড়া তারা কোনও ছুটি নেবেন না। এমনকী সেই সব সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সিসিএল নিতে পারবে না।
যদি না তাঁদের সন্তানেরা মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল অন্য কোনও বোর্ডের পরীক্ষার্থী হয়। পর্ষদ বা জেলা কনভেনররা কোনও স্কুলকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না বলতে পারবে না, যদি না পর্ষদের কাছে তারা কোনও উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারে। পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে কোনও আনওয়ান্টেড কিছু পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ সে বিষয়ে সেন্ট্রার সেক্রেটারি, ভেন্যু সুপারভাইজ়ার এবং অতিরিক্ত ভেন্যু সুপারভাইজ়ারদের ঘাড়ে দায় চাপবে।