বিরোধী দলনেতা কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করেছেন, তৃণমূলের নিশানায় শুভেন্দু

0
1

ফের তৃণমূলের নিশানায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।শনিবার তাকে নিশানা করলেন রাজ্য সরকাররে দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজার অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী নিয়ে বলেছে দেখুন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের দেখা হওয়া নিয়ে তিনি মিম করলেন। তিনি ক্ষতি করলেন। মমতা-বিক্রমসিঙ্ঘের সেই হঠাৎ সাক্ষাৎ নিয়ে কটাক্ষ করে এক্স হ্যান্ডেলে একটা কাল্পনিক সংলাপ লিখেছিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সেই টিপ্পনি নিয়ে এবার বিদেশ মন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের কাছে নালিশ করল তৃণমূল।

শাসক দলের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতার মন্তব্য খুবই নেতিবাচক। তা ভারত-শ্রীলঙ্কা কূটনৈতিক সম্পর্কে কূপ্রভাব ফেলতে পারে। ভারত-শ্রীলঙ্কা কূটনৈতিক সম্পর্কের এ বার ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় বংশদ্ভূত তামিলরা এবার দ্বিশতবার্ষিকী পালন করছেন।তৃণমূলের বক্তব্য, ভারত যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় চলে। সেখানে গঠনমূলক সহযোগিতাই মূল মন্ত্র। কিন্তু যে ভূমিকা বিরোধী দলনেতা নিয়েছেন, তা দেশের বিদেশনীতিকেও বিপন্ন করতে পারে।
শশী পাঁজার কটাক্ষ,এই বিরোধী দলনেতা আবার বলেন গ্রামের টাকা বন্ধ করে দাও। আবার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নষ্ট করছেন। এই জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। দিল্লিতে কর্মসূচি করতে চেয়ে বারবার পুলিশকে আমরা চিঠি দিয়েছি। যন্তর মন্তরে আমাদের কর্মীরা অবস্থান করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছে। ওরা অনুমতি দিচ্ছে না। তবে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালু থাকছে।

শুভেন্দুর এই টিপন্নি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা লিখেছেন, বিরোধী দলনেতার এই ভূমিকা নিন্দনীয়। তিনি রাজ্যের সম্পর্কে ভ্রান্ত ও সংকীর্ণ কথা বলেছেন। নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গে বাণিজ্য সম্মেলন হবে। সেখানে শ্রীলঙ্কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তার আগে এরকম কটাক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে শুধু প্রভাব ফেলবে না, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাতেও কূপ্রভাব ফেলতে পারে।

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে দিল্লিতে বড় কর্মসূচি হবে। আমরা বারবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু আমাদের দিল্লি পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কেন্দ্রের সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পুলিশ। এতে রাজনীতি আছে। তবে দিল্লিতেই হবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন। সব বিধায়ক, সাংসদ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকবেন।পরের দিন ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে যাব।