বেহালায় বাড়ি থেকে উদ্ধার নবতিপর বৃদ্ধার প.চনধরা দেহ, মৃ.ত্যু নিয়ে র.হস্য

0
2

বেহালায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ৯৫ বছর বয়সী বৃদ্ধার পচনধরা দেহ। শনিবার বিকেলে পুষ্পা দাস নামে ওই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে বৃদ্ধার নাতিকে। বৃদ্ধার দেহে রক্তের দাগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে চণ্ডীতলায় পৌঁছয় পুলিশ। ৬৯এ নম্বর বাড়িতে ঢুকে দেখে, সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। তাঁর মাথায় রক্ত লেগে রয়েছে। শরীরের কিছু অংশে পচনও ধরেছে।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই বাড়িতে পুত্রবধূ পদ্মা দাস এবং নাতি অভিষেক দাসের সঙ্গে থাকতেন পুষ্পা। পদ্মার বয়স ৫৭ বছর। অভিষেকের বয়স ৩২।

স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মা পদ্মার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল ছেলে অভিষেকের। মা-ছেলের ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করছিলেন ঠাকুমা। সে সময় মাকে অভিষেক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ধাক্কা দেন ঠাকুমা পুষ্পাকে। পড়ে গিয়ে আঘাত পান পুষ্পা। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই থেকে বাড়ির সব দরজা বন্ধ করে ভিতরে ছিলেন অভিষেক।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুরের এক মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। বৃহস্পতিবার বাড়ির সব দরজা বন্ধ করার পর অভিষেক নিজের অনেকগুলি ওষুধ খেয়ে ফেলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বেশ কয়েকদিন বাড়ি থেকে কেউ না বেরনোয় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। শনিবার সকালে তাঁরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পদ্মাদেবী প্রতিবেশীদের কাছে শাবল চাইছেন। তালা ভেঙে বাড়ি থেকে বেরনোর চেষ্টা করছেন তিনি। এর পরই পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে তালা ভেঙে ঢুকে বৃদ্ধ পুষ্পাদেবীর পচন ধরা দেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার করা হয় আহত পদ্মা দাসকেও। এর পর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিষেককে। তার চারিদিকে ছড়িয়ে ছিল মাদকের স্ট্রিপ।