৪৮ ঘন্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত। জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জেলায় এখনও চলছে গুলির লড়াই। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন আরও একজন সেনা সদস্য।বুধবার সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই চলার সময় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে শুক্রবার ভোরেই মৃত্যু হয় ওই সেনাকর্মীর। অনন্তনাগে গুলির লড়াইয়ে এই নিয়ে এই এনকাউন্টারে এখনও পর্যন্ত মৃত সেনাকর্মীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার।
আরও পড়ুনঃজম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের ‘সাংবিধানিক বৈধতা’র দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
মঙ্গলবার রাতেই অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় জঙ্গি নিধন অভিযানের অংশ হিসেবে জোরদার তল্লাশি চালাতে শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা। উল্লেখ্য, অনন্তনাগ জেলার বিভিন্ন অংশে বিদেশি সন্ত্রাসবাদীরা সুকৌশলে লুকিয়ে রাখে নিজেদের। দুর্গম এলাকা হওয়ার সুযোগ নিয়ে ভারতের এই এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে ভারতেই হামলার ছক কষে তারা। তাই তাদের খুঁজে বের করার জন্য এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই বিশেষ অভিযান চালায় সেনা। মঙ্গলবারও তাই হয়েছিল। গারল গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় লুকিয়ে থাকা জনা তিনেক জঙ্গির সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি করা হচ্ছিল।
কিন্তু সেদিন পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরাও। বুধবার ভোরে দু-পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতেই আহত হন ভারতীয় সেনার ১৯ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধনচক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপার হুমায়ুন মুজাম্মিল ভাট। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তিনজনের। তারপরেও এখনও চলছে অভিযান। টানা ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ড্রোন এবং আরও নানা আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্র নিয়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খতম করার লক্ষ্যে লড়াই করছেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা।
গোটা অভিযানের উপর নজর রাখছেন চিনার কর্পসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, ভিক্টর ফোর্স, এবং মেজর জেনারেল বলবীর সিং। তাঁরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সমস্ত সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করা সম্ভব হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান চলবে।