আদালতের নির্দেশ না মানার শাস্তি ধার্য করেও নির্দেশ প্রত্যাহার। কেন? আসলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারিকে (Deputy Secretary, Board of Primary Education) আজ জরিমানা করে আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)মামলার শুনানিতে বলেন, তিন মাস হয়ে গেল কিন্তু আদালতের নির্দেশ কার্যকর হল না । ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট (TET)পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। পরে আদালত ওই প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর এক পরীক্ষার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানান, তিনি পাননি। যে কারণে তিনি টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থী। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly)বেঞ্চ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ওই পরীক্ষার্থীর নথি যাচাই করে ওই নম্বর দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু শুক্রবার মামলার শুনানিতে দেখা যায় আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি। এই ঘটনায় যথেষ্ট বিরক্ত হন বিচারপতি। এরপরই জরিমানার আদেশ দেন তিনি। পরে যদিও পর্ষদের আইনজীবীর আর্জি মেনে জরিমানার নির্দেশ এবং পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি।
এত মাস কেটে গেলেও কেন উচ্চ আদালতের নিয়ম কার্যকরী হয় না সেই নিয়ে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন এই দায়িত্ব পালনে কেউ অক্ষম হলে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বা তাঁর বিরুদ্ধে অন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারিকে নিজের পকেট থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহার করে নেন বলে আদালত সূত্রে খবর।