লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ফাইলকাণ্ডে নয়া মোড়। কোম্পানির অ্যাকাউন্ট্যান্ট চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। ইডির ডাউনলোড করা ১৬টি এক্সেল ফাইলে কী রহস্য।লুকিয়ে আছে তা উদঘাটন করার চেষ্টা করছেন লালাবাজারের গোয়েন্দারা। ইডি রিপোর্টে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় লালবাজার। এবার হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল।
সম্প্রতি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি গোয়েন্দারা। অভিযোগ, সেই সময়ে অফিসের একটি কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করেন মিথিলেশ কুমার মিশ্র নামে এক ইডি আধিকারিক। যা নিয়ে লালবাজারে অভিযোগ জানিয়েছেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্ট্যান্ট।
আরও পড়ুন- “বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে আন্দোলন পৌঁছে যাবে রাজভবনে”, স্বৈ.রাচারী রাজ্যপালকে হুঁ.শিয়ারি টিএমসিপির
নিজেদের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে ইডির বক্তব্য ছিল, তাদের ওই অফিসার নিজের মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজছিলেন। সেই সময় এই ফাইলগুলি কোনওভাবে ডাউনলোড হয়ে যায়। হাইকোর্ট, এই ফাইলগুলি কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়ার পরই, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। কারণ, রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সব কয়েকটি বয়েজ হস্টেল! একজন অফিসার নিজের মেয়ের জন্য কেন বয়েজ হস্টেল খুঁজবেন, প্রশ্ন লালবাজারের। তাছাড়া লালবাজারের দাবি, ইডি অর্থ মন্ত্রকের তরফে জারি করা এসওপি মেনে কাজ করেনি। সবমিলিয়ে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ফাইলকাণ্ডে চাপে ইডি।