ইন্ডিয়া জোট যত শক্তি বাড়াচ্ছে ততই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠছে বিজেপি। ইন্ডিয়া মহাজোটের সমন্বয় সম্মেলনের প্রথম বৈঠকে তৃণমূল সাংসদকে প্যাঁচে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল বিজেপি। কিন্তু তাতে সফলতা না পেয়ে এ বার হরিয়ানার নুহতে সাম্প্রতিক গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মহম্মদ খানকে গ্রেফতার করল বিজেপি সরকার। হরিয়ানা পুলিশের দাবি, গোষ্ঠীহিংসায় মহম্মদ খানের জড়িত থাকার প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে।যদিও তার কোনও প্রমাণ এখনও দিয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ পুজোর পরই কলকাতায় INDIA, ঐতিহাসিক জনসভা করবে মহাজোট
বৃহস্পতিবার হরিয়ানা পুলিশ এফআইআর দায়ের করার পরেই গ্রেফতারি এড়াতে বৃহস্পতিবার মহম্মদ খান পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছিলেন। হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি ১৯ তারিখ পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ফিরোজপুর জিরখার বিধায়ক মহম্মদ খানের আইনজীবীর অভিযোগ, পুলিশের কাছে জমা পড়া প্রাথমিক অভিযোগে তাঁর মক্কেলের নাম ছিল না। কিন্তু পরে রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকায় মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সরকারের পুলিশ রাজনৈতিক কারণে এফআইআর-এ মহম্মদ খানের নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
অগস্টের প্রথমদিকে নুহ, মেওয়াত, গুরুগ্রাম-সহ হরিয়ানায় একাধিক এলাকায় গোষ্ঠীহিংসা ছড়িয়েছিল। হিংসার পিছনে বজরং দলের নেতা, গোরক্ষক বাহিনীর সর্দার মনু মানেসরের উস্কানিমূলক বিবৃতিকে দায়ী করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে মনুর বিরুদ্ধে রাজস্থানের দুই ব্যবসায়ীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। গত সপ্তাহে ওই মামলায় মনুকে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ।কিন্তু এতকিছুর পরও শুধুমাত্র প্রতিহিংসার রাজনীতি ও নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনে এফআইআর-এ নাম না থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস বিধায়ককে গ্রেফতার করল বিজেপি পুলিশ।