নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোট। দলনেত্রীর নির্দেশে বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই এই বিলের তুমুল বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। পাশে দাঁড়াচ্ছে I.N.D.I.A. জোটও। বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রিদের রাস্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন হাঁটছেন, তখন দিল্লি (Delhi) থেকে সংসদীয় দলের ফোন। নেত্রীকে সাংসদরা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত CEC বিলটি বিশেষ অধিবেশনে আনতে চলেছে মোদি সরকার। খবর শুনেই চরম ক্ষুব্ধ দলনেত্রী। সুদূর মাদ্রিদ থেকেই সংসদের বিশেষ অধিবেশনে এর প্রবল বিরোধিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সভানেত্রী। তিনি বলেন, শুধু বিরোধিতা নয়, ইস্যুতে অধিবেশন উত্তাল করতে হবে। সেই মতোই প্রথম দিনের প্রথমঘণ্টা থেকেই লড়াইয়ে সামিল হবে তৃণমূল।

ইতিমধ্যেই এই বিলের বিরোধিতা করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে চিঠি লিখেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O’Brian)। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিতে চলেছেন লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়।

বিশেষ অধিবেশনে মোট চারটি বিল আনার কথা জানানো হয়েছে। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ৭৫ বছর পূর্তি নিয়ে বিশেষ আলোচনাও হবে। গত ১০ আগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করেন আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। তবে বিলটি নিয়ে বিস্তারিত চর্চা এবং পাশ করানো হয়নি। বিশেষ অধিবেশনে সেই বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং পাশ করানো হবে। দেশপ্রেম নিয়ে আগামী বিশেষ অধিবেশনে যে আলোচনা হবে তার বিরুদ্ধেও তৃণমূল সহ ইন্ডিয়া জোটের সব দল সরব হবে বলে সূত্রের খবর। কারণ, ইন্ডিয়ার অভিযোগ, দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে ২০২৪ এর ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে মোদি সরকার। CEC বিল প্রসঙ্গে ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “কেন দেশের জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? কেন তিনি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন? তিনি কি আরও বেশি করে ইভিএম হ্যাক করতে চাইছেন?”
আরও পড়ুন: বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ! মাদ্রিদ থেকে CEC বিলের প্রবল বিরোধিতার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
৭৫ বছরে দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন, “সেই আলোচনায় কি উঠে আসবে কীভাবে মোদি সরকার বিলগুলিকে বুলডোজ করেছে, অসাংবিধানিক বিল পাস করিয়েছে, বিচার ব্যবস্থার পরিপন্থী বিল পাশ করিয়েছে, সংসদীয় রীতিনীতি কীভাবে অমান্য করেছে মোদি সরকার।” কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশও জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার বিলের বিরোধিতা করবে ইন্ডিয়া জোট।



































































































































