হাতে নথি নিয়েই মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের ১৫মিনিট আগে ইডি দফতরে হাজিরা দেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। এদিন বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে ঢুকেছিলেন। আর বিকেল ৫টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ অর্থাৎ, প্রায় সাড়ে ৬ঘণ্টা ইডি দফতরে থাকার পর বাইরে আসেন নুসরত। এরপর সোজা গাড়ি চেপে বেরিয়ে যান। যাওয়ার আগে একটাই প্রতিক্রিয়া ছিল তারকা সাংসদের। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি’।
জানা গিয়েছে, ইডির চার আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন নুসরতকে, উপস্থিত ছিলেন এক মহিলা অফিসারও। যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সংস্থার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের প্রসঙ্গ, তাঁর ফ্ল্যাট কেনা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নুসরতকে, এমনকী ডিরেক্টর হিসাবে কী কী দায়িত্ব ছিল তাঁর, তাও জানতে চাওয়া হয় সাসংদের কাছ থেকে। তাঁর স্টেটমেন্ট রেকর্ড করা হয়। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হবে, এমনটাই খবর।
গত, ৫ সেপ্টেম্বর নুসরতকে নথি সহ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। এদিন হাতে নথি নিয়েই ইডি দফতরে হাজির হন তিনি। নুসরতের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ। ২০১৪ সালে প্রায় কয়েকশো ব্যক্তি ফ্ল্যাট পিছু ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ৩ বছরের মধ্যেই তাঁর নিজেদের ফ্ল্যাট পাবেন। সেই তিনবছর পেরিয়েছে বহু আগেই। কিন্তু ফ্ল্যাট মেলেনি। অভিযোগ মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। যার অন্যতম ডিরেক্টর নুসরত।
পাশাপাশি আরও অভিযোগ ছিল, ফ্ল্যাট দুর্নীতির টাকা দিয়ে নিজের ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে আসার পর নুসরত সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, ‘৩০০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করতে পারি যে, আমি দুর্নীতিতে যুক্ত নই।’







































































































































