মোদি সরকারের গৈরিকীকরণের ধারাবাহিকতা থেকে বাদ গেল না সংসদ ভবনের কর্মীরাও । ২০১৪ তে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে গণতন্ত্রের মন্দির সম্মোধন করে প্রণাম করেছিলেন । সেই গণতন্ত্রের মন্দিরেও এবার পুরোদমে গৈরিকীকরণের প্রচেষ্টা অভিযোগ বিরোধীদের। এবার থেকে নতুন সংসদ ভবনে কর্মীদের জন্য থাকছে ‘ড্রেসকোড’। পদ্ম-ছাপ দেওয়া শার্ট ও খাকি ট্রাউজার পরতে হবে কর্মীদের। শুধু ‘ড্রেসকোড’ থাকা-ই নয়, কর্মীদেরকে দেওয়া হবে কম্যান্ডো প্রশিক্ষণও। আর তাঁদের সাফারি স্যুট হবে অনেকটা মিলিটারি স্টাইলেই।
জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদের বিশেষ অধিবেশনে খাকি প্যান্ট-পদ্ম ছাপ শাড়িতে দেখা যাবে সংসদের কর্মচারীদের। সরকারের ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন ১৮ সেপ্টেম্বর উভয় কক্ষের কার্যক্রম সংসদের পুরনো ভবনে শুরু হলেও ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে পূজাতে নতুন সংসদ ভবনে কর্মচারীদের দেখা যাবে নতুন রূপে। সূত্রের খবর, পুরুষ কর্মচারীদের জন্য থাকবে গোল গলার শার্টের সঙ্গে খাকি প্যান্ট। মহিলা কর্মীদের জন্য থাকবে পদ্ম ফুলের ছাপা শাড়ি। এমন কি বদল আনা হচ্ছে কর্মীদের জুতোতেও বলে জানা গিয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি এই ইউনিফর্মগুলি ডিজাইন করেছে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে নেহেরু জ্যাকেট, পদ্ম ফুলের নকশা সহ গোলাপী শার্ট এবং খাকি রঙের প্যান্ট থাকবে।সংসদের উভয় কক্ষে মার্শালদের পোশাকেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন ইউনিফর্মের অংশ হিসেবে মণিপুরি পাগড়ি পড়তে হবে তাদের। সংসদ ভবনে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীদের ইউনিফর্মও পরিবর্তন করা হয়েছে। চিরাচরিত সাফারি স্যুটের পরিবর্তে এবার থেকে তাদের দেখা যাবে সামরিক পোশাকের মতো ইউনিফর্মে । উল্লেখ্য পদ্ম বিজেপির দলীয় এবং নির্বাচনী প্রতীক। স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। কংগ্রেসের মণিকাম টেগর জানতে চেয়েছেন,” সংসদের কর্মীদের পোশাকে কেন শুধুমাত্র পদ্মের চিহ্ন। কেনো ময়ূর বা বাঘের চিহ্ন রাখা হলো না।”
আরও পড়ুন- ফের হিং.সাদীর্ণ মণিপুর, দুষ্কৃ.তীদের গু.লিতে মৃত ৩