মরক্কো যেন মৃ*ত্যুপুরী! ভূমি*কম্পে মৃ*তের সংখ্যা ৩ হাজার ছুঁইছুঁই

0
1

মরক্কোয় ভূমিকম্পের পর কেটে গেছে তিনদিন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংস্বস্তুপের নীচ থেকে এখনও মিলছে মৃতদেহ। উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে, তত যেন লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সরকারি সূত্রের পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬৮১ জন। নিখোঁজ বহু মানুষ।মরক্কোর চারপাশে থেকে ভেসে আসছে স্বজনহারাদের কান্নার শব্দ।

আরও পড়ুনঃ ‘বিছানায় শুয়ে মনে হচ্ছিল খাটটি উড়ে চলে যাবে’,মরক্কোয় ‘আতঙ্কের’ সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত ৬০ বছরের মধ্যে মরক্কোয় হওয়া সব চেয়ে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে তিন লক্ষ মানুষের উপরে। ভেঙে পড়েছে সে দেশের অধিকাংশ ঘর-বাড়ি। গত তিন রাত ধরে খোলা আকাশের নীচে কাটাতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে। মুলে ব্রাহিম, ম্যারাকেশ, কাসাব্লাঙ্কা, ইমদাল-সহ বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী শিবির তৈরি করা হয়েছে। যেখানে সম্ভব, সেখানে সেনার তরফে খাবার, জল, ওষুধ, কম্বল, তাঁবু পাঠানো হচ্ছে। আল হাউজ় অঞ্চলে মরক্কোর সেনা ২৪ জন চিকিৎসক, ৪৬ জন নার্স ও ৫৮ জন সামাজিক ও মানসিক বিশেষজ্ঞের সাহায্যে ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষজনকে সাহায্য করছে। কোথাও আবার রক্তদান করছেন পুলিশকর্মীরাই। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে মূলত পুড়ে যাওয়া বা মুখে, হাতে, পায়ে গভীর আঘাতের চিকিৎসা করাতেই লোকজন বেশি আসছেন।
তবে ভূমিকম্পের পরে ম্যারাকেশ শহর থেকে কিছু দূরে থাকা গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে । স্থানীয়দের দাবি, উদ্ধারকারীদের পৌঁছতে লেগে যাচ্ছে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি সময়। তাই উদ্ধারকাজ চালানো ও ত্রাণ পাঠানো হলেও তা হচ্ছে অত্যন্ত ধীর গতিতে।
মরক্কোর এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর পাশে দাঁড়িয়েছে প্রায় সকল রাষ্ট্র। আর্থিক সাহায্য থেকে উদ্ধারকার্যে প্রযুক্তিগত সাহায্যে এগিয়ে এসেছে তারা। শোকপ্রকাশ করেছেন তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। শোকপ্রকাশের জন্য শনিবার প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকারে ঢেকেছিল গোটা আইফেল টাওয়ার। শুধু শোকপ্রকাশ নয়, প্যারিস প্রায় ৫ লক্ষ ইউরো আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে। এমনকী, মরক্কোর দুর্দিনে এককালের ‘শত্রু’ প্রতিবেশী আলজিরিয়াও পাশে দাঁড়িয়েছে বলে খবর। এগিয়ে এসেছে ভারত, আমেরিকা, স্পেন, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, জর্ডন, কাতার, ইরাক, ইরান, ইজ়রায়েল, পোল্যান্ড, আমিরশাহি-সহ আরও অনেকে। এখন শুধু প্রশ্ন কবে থামবে এই মৃত্যুমিছিল?খোঁজ মিলবে নিখোঁজদের? স্বজনহারাদের কান্না থামবে কবে? কবেই বা ছন্দে ফিরবে মরক্কো?