‘অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ মামলায় ধৃত চন্দ্রবাবু নায়ডুকে আদালতে পেশ করল তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। শনিবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করার পর মধ্যরাত অবধি জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে। রবিবার সকালে চন্দ্রবাবুকে বিজয়ওয়াড়ায় দুর্নীতি বিরোধী আদালতে পেশ করা হয়। তার আগে অবশ্য তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রবাবু নাইডুর গ্রে.ফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় শুয়ে বি.ক্ষোভ! অভিনেতা পবন কল্যাণকে আটক
ভোর থেকেই আদালতের সামনে জড়ো হতে থাকেন টিডিপি সমর্থকেরা। চন্দ্রবাবুর সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতে ঢোকেন চন্দ্রবাবু। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা এবং অন্য আইনজীবীরা। নিম্ন আদালতের বিচারক এখনও রায় ঘোষণা করেননি বলে জানা গিয়েছে।
আইনজীবীদের একাংশদের মত দুর্নীতিতে যদি সত্যিই অভিযুক্ত হন অন্ধ্রপ্রদেগের পাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তবে তাঁর দশ বছর পর্যন্ত জেল হেফাজত হতে পারে। যদিও তাঁর গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলে দাবি করে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিআইডি সূত্রে খবর, যে ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ মামলায় চন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে অন্তত ২০টি প্রশ্ন করা হলেও, তার একটিরও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রবীণ এই রাজনীতিক। ৩৭১ কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ হিসাবে বেশ কিছু হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাটও নাকি চন্দ্রবাবুকে দেখিয়েছেন তদন্তকারীরা। এই মামলার প্রাথমিক এফআইআরে চন্দ্রবাবুর নাম ছিল না, এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। সিআইডির তরফে জানানো হয়, তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। ২০১৫ সালে চন্দ্রবাবু যখন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তখন অন্ধ্রের ছেলেমেয়েদের বিবিধ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করে সে রাজ্যের সরকার। মউয়ে বলা ছিল এই প্রকল্পের দশ শতাংশ খরচ বহন করবে সরকার আর বাকি ৯০ শতাংশ ওই বেসরকারি সংস্থা। অভিযোগ, চুক্তি মোতাবেক বেসরকারি সংস্থাটি টাকা দেয়নি। সরকারি কোষাগার থেকেই যাবতীয় ব্যয় হয়েছিল। আর বেসরকারি সংস্থাটির না দেওয়া টাকা নাকি ঘুরপথে গিয়েছিল একাধিক ছোট-বড় ভুয়ো সংস্থায়।এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছে চন্দ্রবাবুর দল। অশান্তি এড়াতে টিডিপির কয়েক জন শীর্ষনেতাকে বাড়িতেই আটক করে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে তেলঙ্গানা-অন্ধ্রপ্রদেশ সীমানায়।






































































































































