যত সময় যাচ্ছে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। কলকাতা পুরসভা (KMC)সূত্রে খবর, শহরের ৬৫ শতাংশ ডেঙ্গির ঘটনা কসবা, বেহালা, নিউ আলিপুর, যাদবপুর-সহ ৬টি বরো এলাকা থেকে। রোজই নতুন নতুন আক্রান্তের খবর আসছে। কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত পাক্ষিকের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে। জানুয়ারী থেকে অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে ৭০০টিরও বেশি কেস রিপোর্ট করা হলেও, অগাস্টের মাঝামাঝি থেকে শেষের মধ্যে ওই একই সমান সংখ্যক কেস রিপোর্ট করা হয় বলে খবর। ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যা বেশি এমন কয়েকটি বরো হল ৯, (টালিগঞ্জ, নিউ আলিপুর), ১০ (গড়িয়া, বাঁশদ্রোনি), ১১ (কসবা, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর), ১২ (বেহালা), ১৩ (খিদিরপুর-মোমিনপুর) এবং ১৪ ( তোপসিয়া-তিলজলা)। প্রায় ১৪০০টি ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর এসেছে ওই এলাকাগুলি থেকে। রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও চওড়া সংক্রমণের থাবা। মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার ছুঁইছুঁই। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গাকে হটস্পট হিসেবে বেছে নিয়ে সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা বলছে এই মুহূর্তে ডেঙ্গি নিয়ে সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা পড়শি রাষ্ট্র বাংলাদেশে। সেখানে সাম্প্রতিক ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবকে ‘বিশ্বের ইতিহাসের ভয়াবহতম ডেঙ্গি সংক্রমণ’বলে অভিহিত করল WHO।
পতঙ্গবাহিত অসুখের এমন ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবকে ‘আসন্ন জলবায়ু সঙ্কটের অশনিসঙ্কেত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে WHO-এর রিপোর্টে। পরিসংখ্যান বলছে, গত চার মাসে বাংলাদেশে প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ এডিস মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার সঙ্গে ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের রাজধানীতে ডেঙ্গির সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছিল। তবে অগাস্টে তা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনই এর কারণ। মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য জলবায়ুগত পরিবর্তনকেই দায়ী করছে রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।