শিশিরের গাড়িতে হামলা: খেজুরিতে বোর্ড গঠনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রস্তাব আদালতের

0
1

খেজুরি(Khejuri) পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে অশান্তি ও সাংসদ শিশির অধিকারীর(Sisir Adhikari) গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। শুক্রবার সেই মামলায় শুনানিতে খেজুরিতে বোর্ড গঠনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়ার প্রস্তাব দিল আদালত(High Court)। এবিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এই ধরণের অশান্তি দুর্ভাগ্যজনক। বোর্ড গঠনে ভোটাভুটির সময় প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force) সাহায্য নিতে হবে বলে পুলিশকে জানায় আদালত।

গত ৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠকে কেন্দ্র তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয় খেজুরি-২-এ। বিডিও-র দফতরকে কেন্দ্র করে বোমা ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বিডিও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেও শান্তি ফেরেনি। কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ভোট দিতে গেলে উত্তেজনা বাড়ে। বোমাবাজি, হাতাহাতিতে ভোট মুলতুবি হয়ে যায়। বিডিও অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিশির অধিকারীর গাড়ি লক্ষ্য করেও ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী খুকুমণি বেরা। শুক্রবার এই মামলা শুনানিতে আদালত রাজ্যের কাছে জানতে চায়, ওই দিন নজরদারিতে কত পুলিশ ছিল? জবাবে রাজ্য বলে প্রায় ২৫০ পুলিশকর্মী ছিল। আদালত রাজ্যকে জিজ্ঞাসা করে এত পুলিশ থাকা সত্বেও কেন আশান্তি আটকানো গেল না। রাজ্য জানায় ভোট চলার সময় বিডিও অফিসে অশান্তি হয়। তাই পুলিশের কিছু করার ছিল না। এরপর বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘এত পুলিশ থাকলেও যদি অশান্তি হয় তবে এটা তো খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

পাশাপাশি রাজ্য আদালতকে জানায়, সে দিনের আশন্তির ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। সাংসদের গাড়িতে হামলার অভিযোগের ভিত্তিতেও একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। সব শুনে আদালত নির্দেশ দেয়, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সময় আরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। ভোটাভুটির সময় প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে পুলিশকে। এর সঙ্গে যে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছে, সেগুলির তদন্ত পুলিশ সুপারকে করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিডিও অফিস নয়, জেলাশাসকের দফতরে বোর্ড গঠনের কাজ করতে হবে বলে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কবে বোর্ড গঠন হবে তা ঠিক হয়।