ভুল না শুধরে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজ্যপাল

0
3

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘একতরফা’ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে গত মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্যপালের কথা শুনে চললে টাকা বন্ধ করে দেবেন।মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। হাতজোড় করে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জানান, “বাইরে নয়, যা প্রতিবাদ করার রাজভবনের ভিতরে এসে করতে পারেন”।

আরও পড়ুনঃফের মেট্রোয় আত্ম*হ*ত্যার চেষ্টা! অফিসটাইমে ব্যাহত মেট্রো চলাচল

বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে বাংলায় বিবৃতি দিয়ে এও অভিযোগ করেন, তিনি যে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তাঁদের ইস্তফা দেওয়ার জন্য শিক্ষা দফতর থেকে আমলারা হুমকি দিচ্ছেন। রাজ্যপালের কথায়, নেতাজির নামে শপথ করে বলছি এর শেষ দেখে ছাড়ব।
রাজ্যপাল আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হিংসা মুক্ত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি উপাচার্য। আমি চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দেশের সেরা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালন করার জন্য উপাচার্য নিয়োগ করা দরকার। রাজ্য সরকার যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল, তাকে বেআইনি বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই সবাইকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। এই অবস্থায় আচার্য হিসাবে আমাকে অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিল। শিক্ষাদফতর বলল এটা ভুল। হাইকোর্ট বলল ঠিক”।
এর পরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, “আপনারা জানতে চাইবেন, কেন সরকারের মনোনীত উপাচার্য নিয়োগ করতে পারিনি। তার কারণ হল, তাঁদের মধ্যে কেউ ছিল দুর্নীতিপরায়ণ, কেউ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে, কেউ রাজনৈতিক খেলা খেলছিল। এখন আপনারাই বলুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কি এমন অন্তবর্তী উপাচার্য থাকা উচিত যিনি দুর্নীতি করবেন, বা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করতে পারেন”।
রাজ্যপাল যাঁদের অন্তবর্তী উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন ইস্তফা দিয়েছেন। রাজ্যপাল এদিন বলেন, “কেন তাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন জানেন? শিক্ষা দফতরের আমলারা তাঁদের হুমকি দিয়েছেন ইস্তফা দেওয়ার জন্য। ওই উপাচার্যরা গোপনীয়তার সঙ্গে আমাকে এটা জানিয়েছেন।”