ইন্ডিয়া(India) নাম মুছে ফেলে দেশের নাম শুধুই ভারত(Bharat) রাখতে উদ্যত হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার(Modi Govt)। যদিও ৭ বছর আগে এমনই এক প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। সম্প্রতি এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, আজ থকে ৭ বছর আগে দেশের নাম ইন্ডিয়া মুছে শুধু ভারত রাখার দাবিতে শীর্ষ আদালতে(Supreme Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেখানে কেন্দ্রের তরফে আদালতে হলফনামা দিয়ে এই ধরণের পদক্ষেপ পুরোপুরি খারিজ করা হয়।
উল্লেখ্য, নিরঞ্জন ভটওয়াল নামে মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি ২০১৫ সালে ‘ইন্ডিয়া’ নাম বাতিল করে কেবলমাত্র ‘ভারত’ নামটিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়, সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং বিচারপতি ইউইউ ললিত সেই আবেদন খারিজ করে দেন। ২০১৬ সালের ওই মামলার রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, দেশের প্রতিটি নাগরিকের ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ দু’টি নামই ব্যবহারের অধিকার রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, ঘটনাচক্রে ওই রায়ের আগে ২০১৫-র নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে মোদি সরকার জানিয়েছিল, ভারতীয় সংবিধানের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ দু’টি নামই রয়েছে। তার পরিবর্তন ঘটনোর প্রয়োজন নেই। মোদির জামানায় ২০১৬ সালে দুই বিচারপতির বেঞ্চ রায়ে ‘ইন্ডিয়া’ নাম বাতিলের আর্জি খারিজ করে বলেছিল, “এ ধরনের আবেদন অর্থহীন।” সেই ঘটনার ৭ বছর পর এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ মোদি সরকারের তরফে এই নাম বদলের পরিকল্পনা কেন? এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিরোধী জোটের আতঙ্কেই তড়িঘড়ি নাম বদলের এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কারণ বিরোধী রাজনৈতিক দল তাদের মহাজোটের নাম রেখেছে Indian National Developmental Inclusive Alliance বা INDIA. দেশের নামের সঙ্গে মিল রেখে জোটের নাম রাখায় নির্বাচনী লড়াইয়ের শুরুতেই ব্যাকফুটে NDA. মনে করা হচ্ছে, এর জেরেই দেশের নাম বদলে শুধু ভারত রাখতে উদ্যত হয়েছে মোদি সরকার।
প্রসঙ্গত, জি২০ শীর্ষবৈঠকে অংশ নেওয়া বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায়, ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে সেই পত্রে লেখা রয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। এরপরই এ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্যই আগামী ১৮-২২ ডিসেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে বলেও জল্পনা দানা বেঁধেছে। যদিও সরকারের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।