জাতিদাঙ্গায় উত্তপ্ত মণিপুরে অশান্তির আগুন কিছুতেই নিভছে না। ফের নতুন করে হিংসা ছড়াল উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে। নতুন করে অশান্তির ঘটনায় জখম কমপক্ষে ২৮ জন। একটি সংগঠনের ৩০ হাজার মানুষের জমায়েত করে কারফিউ ভেঙে চাঁদচুরাপুর ও বিষ্ণুপুর সীমান্ত এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করে। কুকি অধ্যুষিত এলাকায় মেইতেই বাড়িগুলি দখলের চেষ্টাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। তখনই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। জাতীয় সড়কের ২-এর ফৌগাকচাও ইখাইয়ের উপর ঘটনাটি ঘটে।
প্রসঙ্গত, ‘গুরুতর মানবাধিকার লংঘন হয়েছে মণিপুরে। মানবাধিকারকে ধ্বংস করা হয়েছে মণিপুরে।’ মণিপুরের হিংসায় কড়া রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ কমিটির। রিপোর্টে উল্লেখ, মণিপুরে যৌন নির্যাতন-যৌন হিংসার ঘটনা ঘটেছে। নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ কমিটির এই রিপোর্টকে খারিজ করেছে ভারত সরকার।
ভারত সরকারের বক্তব্য, রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট ‘অযৌক্তিক, অনুমানমূলক ও বিভ্রান্তিমূলক।’ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনে ভারতের দাবি, উত্তর-পূর্ব রাজ্যের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। ভারতীয় মিশন জোর দিয়ে বলেছে যে মণিপুরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল এবং ভারত সরকার শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার মণিপুরের জনগণ সহ ভারতের জনগণের মানবাধিকার রক্ষার জন্যও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই মর্মে নোটও দিয়েছে ভারতীয় মিশন।