‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা দেশ জুড়ে। আগামীদিনে কি তবে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে? একাধিক জল্পনা এবং চর্চার মধ্যেই এবার মুখ খুলল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সামনেই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ভোপালে পৌঁছন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন শেষ করে ফেলাই আমাদের কাজ। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনে সংবিধান আমাদের যে অধিকার দিয়েছে, তা অনুযায়ী আমরা নির্বাচন সংগঠন করে থাকি।’ একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ছয় মাস আগেই নির্বাচন করা যায়। রাজ্য বিধানসভাগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। সংবিধান এবং এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আওতায় থেকে আমরা নির্বাচন করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
মোদি সরকারের মতে, এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন নির্বাচনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে। আবার, নির্বাচিত সরকারগুলিও কাজ করার জন্য বেশি সময় পাবে। বাড়বে কেন্দ্র-রাজ্য সম্বন্বয়। আর তাই এক দেশ এক ভোটের পক্ষে সওয়াল করছে তারা।প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশন চলাকালীন এই এক দেশ এক নির্বাচন প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে রাহুল গান্ধীর দাবি, ‘ভারত আসলে রাজ্যের সমাহার। যুক্তরাজ্যে এক দেশ এক নির্বাচন হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্র্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সমস্ত রাজ্যের উপর আক্রমণ। ইন্ডিয়া, অর্থাৎ ভারত, যুক্তরাষ্ট্র। এক দেশ, এক নির্বাচনের ধারণাটি ভারত যুক্তরাষ্ট্র এবং এর সমস্ত রাজ্যের উপর আক্রমণ।’ একই মত ইন্ডিয়া জোটের অন্য শরিক দলগুলিরও।