গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া এক মামলায় নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) এবং লেক থানার (Lake Police Station) দুই আধিকারিককে জরিমানার (Fine) নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানার পাশাপাশি নির্যাতিতা’র কাছে ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। কয়েক মাস আগে নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা এক মহিলা গণধর্ষণের অভিযোগ আনেন। বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা চলছে। আর সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এমন নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

নির্যাতিতার অভিযোগ, গত ২৯ জুন লেক থানা থেকে মেল পাঠানো হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। জানানো হয়, ৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দুপুর ১২টা নাগাদ হাজিরা দিতে হবে নির্যাতিতাকে। এদিকে ৪ জুলাই পর্যন্ত এই হাজিরার বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি বলেই অভিযোগ নির্যাতিতার! আদালতের পর্যবেক্ষণ, হলফনামায় কম্পিউটার অপারেটরের ওপর দোষ চাপিয়ে দায় সেরেছেন নরেন্দ্রপুর থানার ওসি। এরপরই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, লেক থানার ভূমিকায় আমরা বিস্মিত। নির্যাতিতার ফোন নম্বর থাকা সত্ত্বেও কেন ঘুরপথে ইমেল করে নরেন্দ্রপুর থানাকে জানানো হল সেটা এখনও বোধগম্য হয়নি আদালতের।

এরপরই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির প্রশ্ন, কোন অসাধুর দ্বারা পরিচালিত হয়ে এই বাড়াবাড়ি করেছে পুলিশ? এরপরই নরেন্দ্রপুর ও লেক থানার ওসি-কে ৭ দিনে মধ্যের নির্যাতিতার কাছে ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বাগচী।










































































































































