ময়দানে শোকের আবহ, প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্বর্ণযুগের ফুটবল সচিব অজয় শ্রীমানী

0
1

কলকাতা ময়দানে শোকের আবহ। প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্বর্ণযুগের ফুটবল সচিব অজয় শ্রীমানী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। ঘটি বাড়ির ছেলে হয়েও লাল হলুদ অন্ত প্রাণ ছিলেন তিনি। তাঁকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মধ্যে টানাটানি হয়েছিল। তবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন প্রাণের থেকেও প্রিয় ইস্টবেঙ্গলকে।

অজয় শ্রীমানীর কথা উঠলে সবার আগে মনে পড়বে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ সালের কথা।সেটা ছিল ইস্টবেঙ্গলের স্বর্ণযুগ। সেই সময় লাল হলুদ টানা পাঁচবার লিগ জিতেছিল। সেই সময় ক্লাবের সচিব ছিলেন অজয় শ্রীমানী। দলের এই সাফল্যের সঙ্গ ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। সুধীর কর্মকার, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্টবেঙ্গলকে সই করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অজয় শ্রীমানী। ক্লাবকে অনেক সাফল্য দিলেও ক্লাবের উপর কিছুটা অভিমান ছিল অজয় শ্রীমানীর। এই অভিমানে ক্লাবে পা দেননি দীর্ঘদিন।

১৯৪৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি প্রথমবার ইস্টবেঙ্গলের সদস্য হন। সেই বছর ক্লাবের বারপুজো দেখে বেরনোর সময় জ্যোতিষ গুহ তাঁকে ডেকে ক্লাবের সাব কমিটিতে জায়গা করে দেন। ইস্টবেঙ্গলের জ্যোতিষ গুহ চেয়েছিলেন অজয় শ্রীমানীকে ইস্টবেঙ্গলে নিতে। অন্যদিকে মোহনবাগানও চেয়েছিল তাঁকে ক্লাবে নিতে। একবার তিনি ধীরেন দে-কে একটি চিঠি দিতে গিয়ে শুনেছিলেন যে তিনি কেন ঘটি বাড়ির ছেলে হয়ে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কাজ করছেন। এরপর তিনি মোহনবাগানেরও সদস্য হয়ে যান।

লাল হলুদ তাঁকে আজীবন সদস্যপদ দেয়। অন্যদিকে তিনি মোহনবাগানের সদস্যপদ নবীকরণ করতেন। তাঁর প্রয়াণে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘তাঁর প্রয়াণে আমরা শোকস্তব্ধ। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই।’