দীর্ঘ সময় দলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। জল্পনা চলছিল, অবশেষে বিজেপি ছাড়লেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র বসু (Chandra Bose)। বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) চিঠি দিয়ে দলত্যাগের কথা জানিয়ে দিয়েছেন চন্দ্র বসু। বিজেপির যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে একসময় দলে এনেছিল, তার বিন্দুমাত্র পূরণ করেনি, সেই ক্ষোভ থেকেই দলত্যাগ বলে জানিয়েছেন চন্দ্র বসু। নাড্ডাকে দেওয়া ইস্তফাপত্রে চন্দ্র বসু জানিয়েছেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শরৎচন্দ্র বসুর মতো জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বিজেপি (BJP)। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে চন্দ্র বসু বলেছেন, “২০১৬ সাল থেকে আমি বিজেপিতে কাজ করেছি। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। আমার নীতিগুলি আমার দাদু শরৎচন্দ্র বসু এবং তাঁর ছোট ভাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তাঁরা দেশের সকল ধর্মের মানুষকে দেখেছিলেন শুধুমাত্র ভারতীয় হিসেবে। বিভাজন ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তাঁরা। আমি বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বাংলায় রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তাঁরা সেগুলির প্রয়োজন আছে মনে করলেও, কখনও আমার প্রস্তাবগুলির বাস্তবায়িত করেননি। যখন আমার কোনও প্রস্তাবই গৃহীত হয় না, তখন এই দলের সঙ্গে থাকার কোনও মানে হয় না। আমি কাজ করতে পারছি না। তাই ভেবে দেখলাম, এই দলের সঙ্গে থাকাটা নেতিবাচক কাজ। আমি জেপি নাড্ডাকে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমার শুভকামনা দলের সঙ্গে রইল। তবে তাদের উচিত সমস্ত সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করা।”
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্র বসু। ২০১৬ সালের বিধানসভা এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। তবে শেষ কয়েক বছর বিজেপিতে চন্দ্র বসুকে একেবারেই সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি। অবশেষে বিজেপি ত্যাগ করলেন নেতাজি পরিবারের এই সদস্য।