দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে অবশেষে অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ফেরাতে রাজি হল মায়ানমার (Myanmar)। পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ভেরিফায়েড তিন হাজার রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবর্তন শুরু হবে। মায়ানমারের নেপিডোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের উচ্চ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, যেখানে শরণার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় ১২লক্ষ, সেখানে ৩হাজারকে ফিরিয়ে কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
সোমবার নেইপিদোতে বাংলাদেশ (Bangladesh) ও মায়ানমারের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা এক বৈঠকে অংশ নেন। সেখানেই ডিসেম্বরের মধ্যে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মৌখিক সম্মতি দেয় মায়ানমার। অতীতে দুদফা চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় পরে এদিনের বৈঠকে শরণার্থী প্রত্যাবর্তন নিয়ে ভিন্ন স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়। এবার আগ বাড়িয়ে প্রত্যাবর্তন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। তবে বাংলাদেশ (Bangladesh) ও মায়ানমার এ বিষয়ে একমত। এর পাশাপাশি, মায়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের (Rohingya) সঙ্গে কথা বলে মনোবল বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নজরে ভোট, বিশেষ অধিবেশনে সংসদে পেশ হতে পারে মহিলা সংরক্ষণ বিল
বৈঠকে থাকা এক কূটনীতিক জানান, মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনা সদর্থক হয়েছে। তারা যত শিগগির সম্ভব প্রত্যাবর্তন শুরু করতে চায়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রথম ধাপে তিন হাজার রোহিঙ্গা দিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ঠিক কবে এই কাজ শুরু হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় ধাপে পাঁচ হাজার এবং তার পরের ধাপে সাত হাজার রোহিঙ্গাকে তারা ফেরত নিতে পারে। যদিও এ সংখ্যক রোহিঙ্গাকেই যে তারা নির্দিষ্ট করে ফেরত নেবে, তা নিশ্চিত করে বলা ঠিক হবে না।
যখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা যায়, তখন তাদের সংখ্যা ছিল ৫ থেকে ৭ লক্ষ। কিন্তু গত কয়েক বছরে তাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ। সেখানে এত কম সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ফেরত নিলে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে কি! উঠছে প্রশ্ন। তবে, নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে যদি হাসিনা সরকার সদর্থক পদক্ষেপ করতে পারেন, তাহলে সেটা ভোটবাক্সে তাদের অনুকূলে যআবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।