শোনা যাবে না কণ্ঠ! হৃ.দরোগে আক্রান্ত হয়ে প্র.য়াত চন্দ্রযান ৩-র কাউন্টডাউন দেওয়া বিজ্ঞানী

0
1

ইসরো (ISRO) থেকে চন্দ্রযান (Chandrayyan) চাঁদের বুকে পাড়ি দিয়েছিল ১৪ জুলাই। কাউন্টডাউনের পরই ইসরো থেকে চাঁদের পথে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান ৩। তবে এখনও শেষ হয়নি চাঁদের মাটিতে বিক্রমের অভিযান। কিন্তু চন্দ্রযান বিক্রমের অভিযান শেষ হওয়া আর নিজের চোখে দেখা হল না ভালারমতির (N Valarmathi)। তার আগেই চলে গেলেন ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এর কাউন্টডাউন দেওয়া বিজ্ঞানী। শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ২৩ অগাস্ট ল্যান্ডার বিক্রমের গতি কমানো থেকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ— চন্দ্রযানের যাবতীয় গতিবিধির সমস্ত আপডেট গোটা বিশ্বকে জানিয়ে চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন ভালারমতি।

প্রয়াত বিজ্ঞানীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এদিকে ভালারমতির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর পিভি বেঙ্কটাকৃষ্ণন এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, শ্রীহরিকোটায় ইসরোর পরবর্তী মিশনগুলির কাউন্টডাউন যখন চলবে, সেই সময় ভালারমতি ম্যাডামের কণ্ঠ আর শোনা যাবে না। খুবই দুঃখিত। ওনাকে প্রণাম।

১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই জন্ম হয় ভালারমতির। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে ইসরোয় যোগদান করেন তিনি। ইসরোর একাধিক গবেষণায় এবং উৎক্ষেপণে ঘোষিকা হিসেবে তাঁর গলা শুনেছে গোটা বিশ্ব। ২০১২ সালে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রেডার স্যাটেলাইট প্রথম উৎক্ষেপণ হয় এবং উপগ্রহে সফল ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই গোটা অভিযানের তত্ত্বাবধান করেছিলেন ভালারমাথি। বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য তামিলনাড়ু সরকার তাঁকে আব্দুল কালাম পুরস্কার প্রদান করেন।