বিহার, বাংলায় একই বয়ান! শিক্ষাক্ষেত্রে রাজভবনের স্বেচ্ছাচারিতা ‘দিল্লি’র অঙ্গুলিহেলনেই

0
1

শিক্ষা দফতর নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শুনতে হবে রাজ্যপালের নির্দেশ। এই মর্মে সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করেছে রাজভবন। তবে অদ্ভুতভাবে এই নির্দেশ শুধু বাংলা নয়, জারি করা হয়েছে বিহারেও। সেখানকার রাজভবনের তরফে গত ৩১ অগাস্ট এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, এবার বাংলাতেও তা জারি হল। এবং আশ্চর্যজনকভাবে দুই রাজভবনের বয়ান হুবহু এক। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এটা কি রাজভবনের নির্দেশ নাকি রাজভবনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজ্যে শিক্ষা দফতরটা তুলে দিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ষড়যন্ত্র? ‘বসের’ নির্দেশ মেনে রাজ্যে বসে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়ার রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে বাংলায় বিজেপির পার্টি অফিস হিসেবে পরিচিত রাজভবন। কেন্দ্র চাইছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করতে।

শনিবার রাজ্যের রাজ্যপালের দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উদ্দেশে। তাতে বলা হয়েছে, আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সার্বভৌম অধিকর্তা হলেন উপাচার্যই। তাঁর অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা তাঁরই নির্দেশকে যাবতীয় কাজ করবেন। সরকার তাঁদের নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্তু সেই নির্দেশ তাঁরা মানতে বাধ্য নন। একমাত্র উপাচার্যের মত হলে তবেই সেই নির্দেশ মান্যতা পাবে। অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষা দফতরের যে কোনও নির্দেশ উপাচার্যের মান্যতা পেলে তবেই কার্যকর হবে। অর্থাৎ নির্দেশিকায় স্পষ্ট যে, উচ্চশিক্ষা দফতরকে এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।

তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত ৩১ অগাস্ট বিহারের রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রবার্ট এল চংথু একই ভাসাতে ওই রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একই বার্তা পাঠিয়েছেন। তাতে রাজভবন ছাড়া রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের শিক্ষা দফতরের কোনও নির্দেশ না শোনার নিদান দেওয়া হয়েছে সব আধিকারিকদের। ইন্ডিয়া জোটে থাকা দুই বিরোধী রাজ্যের রাজ্যপালের একই নির্দেশ দেওয়াতে শিক্ষা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কী পুরো সিদ্ধান্তটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দিল্লির বিজেপি সরকার তৈরি করেছে? যার উদ্দেশ্য নির্বাচিত সরকারের শিক্ষা দফতরকে কুক্ষিগত করে নেওয়া।

আরও পড়ুন- দিল্লিতে মোদি-হাসিনা বৈঠক, তিস্তা নিয়ে আলোচনা চায় ঢাকা