চা-শ্রমিকদের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা। এর জবাব দেবেন শ্রমিকরাই। বুধবার ধূপগুড়ির উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এভাবেই কেন্দ্রকে বিঁধলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
পাশাপাশি এদিন উপনির্বাচনের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের প্রচারে উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সায়নী ঘোষও। ভোটে বিজেপির নোংরা রাজনীতির প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করে, এবারও করবে। তাই ভোটারদের তিনি নিদান দেন যদি বিজেপি টাকা দেয় তাহলে সেই টাকাটা নিয়ে নেবেন আর ভোট টা তৃণমূলকেই দেবেন। কারণ এই টাকা আপনাদেরই টাকা। আপনার আমার ট্যাক্সের টাকা। গ্যাসের টাকা, পেট্রোলের টাকা, ডিজেলের টাকা ওষুধের টাকা যা বিজেপি দাম বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলেছে।
বিজেপি কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে সায়নী আরও বলেন, গ্যাসের দাম কমিয়ে ফের রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন গত পাঁচ বছর ধরে ক্রমাগত সমস্ত জিনিসের দাম বাড়িয়ে এখন লোকসভা ভোটের আগে গ্যাসের দাম কমিয়ে বৈতরণী পার হতে চাইছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার নাম বদল, রাস্তার নাম বদল নিয়েও বিধতে ছাড়েননি তিনি। সরাসরি অভিযোগ করে বলেন আবাস যোজনার জন্য রাজ্য সরকার ৪০ শতাংশ টাকা দেয় তাহলে ওই আবাস যোজনার নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা হবে কেন? সব শেষে তিনি সকলের উদ্দেশে বলেন, বিজেপি মানুষে মানুষে বিভাজনের রাজনীতি করে, হিংসার রাজনীতি করে তাদের যেন মানুষ ভোট না দেন। এদিন বানারহাট ব্লকের গেন্দ্রাপাড়া চা-বাগানে গিয়েছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। প্রার্থীর পাশাপাশি বাগানশ্রমিকদেরও রাখি পরান তিনি।
প্রসঙ্গত, ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন। আর এক সপ্তাহ বাকি নেই। ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। জানা গিয়েছে, প্রথমে ঠিক ছিল ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীই থাকবে। তবে পরে আরও বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন- এসএমএসে নিয়োগ মামলায় দুই মামলাকারীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর