বিরোধী জোটের ভয়েই দাম কমল গ্যাসের, কেন্দ্রকে নিশা.না মুখ্যমন্ত্রীর

0
1

I.N.D.I.A-এর ভয়ে হাঁটু কাঁপছে মোদি সরকারের (Modi government)। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটকে নিয়ে চিন্তায় গেরুয়া শিবির আর তাই ভোট বাক্স ভরতে এবার নয়া চাল কেন্দ্রের (Central Government)। আজ মধ্যরাত থেকেই কমছে রান্নার গ্যাসের (Domestic Gas)দাম। বর্তমানে কলকাতায় LPG গ্যাসের দাম ১১২৯ টাকা। এবার থেকে ২০০ টাকা কমে সেই দাম কমে হবে ৯২৯ টাকা। অন্যদিকে উজ্জ্বলা যোজনায় আরও ২০০ টাকা কম দামে পাওয়া যাবে রান্নার গ্যাসের দাম। এই উপভোক্তাদের দিতে হবে ৭২৯ টাকা। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এই ঘোষণার পরেই টুইট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি লেখেন, “বিগত ২ মাসে ২ বার INDIA-র বৈঠক হয়েছে। তার জন্যই গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২০০ টাকা দাম কমল। এটাই I.N.D.I.A-এর শক্তি।”

কেন্দ্রের সরকার যেভাবে একের পর এক জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে তাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। এই মূল্যবৃদ্ধি ভোটের বাজারে প্রভাব ফেলবে বলেই বুঝতে পেরেছেন বিজেপির নেতৃত্বরা। তাই এবার ‘সস্তার পাবলিসিটি’ করার খেলা শুরু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন এই কেন্দ্র সরকারের আয়ু আর বেশিদিন নেই। এবার তাঁর টুইটেই স্পষ্ট যে বিরোধী জোটের শক্তি কতটা তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই দেশবাসী টের পেতে শুরু করেছেন। INDIA জোট তার আগামী বৈঠক করার আগেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে গিয়ে গ্যাসের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিল কি পদ্ম শিবিরের কর্তারা? এই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। কেন্দ্রের ঘোষণায় বলা হয়েছে উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় আপাতত এলপিজি সিলিন্ডারপিছু ২০০ টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়। তাঁদের ক্ষেত্রে সিলিন্ডারের দাম আরও ২০০ টাকা কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ খোলা বাজারে সিলিন্ডারের দাম যেটা পড়ছে, সেটার থেকে ৪০০ টাকা কম দামে সিলিন্ডার পাবেন তাঁরা। অর্থাৎ কলকাতায় যাঁরা উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনার আওতায় আছেন, তাঁরা অবশ্য ৭২৯ টাকায় সিলিন্ডার কিনতে পারবেন।এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ভোট আসছে। তাই এখন নরেন্দ্র মোদির এইসব কথা মনে পড়েছে। এর আগে রান্নার গ্যাস, জীবনদায়ী ওষুধ, পেট্রোল- ডিজেল- কৃষকের সার এইসবের দাম হু হু করে বেড়েছে। মানুষ বিরক্ত, সারা দেশে NO VOTE TO BJP রব উঠেছে। যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে এই ছাড় আসলে কিছুই নয়। এতে মানুষের মন ভিজবে না। নীতি পরিবর্তন করতে হবে, যাতে এই ধরণের মূল্যবৃদ্ধিই না হয়।”