বিজেপির নির্দেশ উপেক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের সর্বদল বৈঠকে চন্দ্র কুমার বোস

0
1

পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের সর্বদল বৈঠক শুরু হয়েছে নবান্ন সভাঘরে। বিজেপির নির্দেশ উপেক্ষা করে বৈঠকে যোগ দিলেন নেতাজী পরিবারের চন্দ্র কুমার বোস। বৈঠকে এসেছেন সায়ন্তিকা ঘোষ,জয় গোস্বামী , গৌতম ঘোষ , নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টরা। পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে হবে সেই নিয়ে আলেচনা হয়।

কেউ বলছেন পয়লা বৈশাখ, কেউ বলছেন ১৫ অগস্ট, কেউ বলছেন ১৯ অগস্ট, আবার কেউ বলছেন রাখির কথা। হ্যাঁ, পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে পালন করা হবে সেই সংক্রান্ত বৈঠকে এই সমস্ত দিনগুলিরই প্রস্তাব রাখলেন বিশিষ্ঠজনেরা। মতপার্থক্যও দেখা গেল অনেকের মধ্যে। দেশভাগের ক্ষত জড়িয়ে এমন একটা দিনে কোনওভাগেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা উচিত নয় বলে মত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। সে কারণেই এবার নতুন দিনক্ষণ ঠিক করতে বিশিষ্টজনদের মতামত চাইছে বাংলার সরকার। এদিন নবান্নে সেই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পয়লা বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করার জন্য জোরালো সওয়াল করলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ সুগত বসু।

এদিনের আলোচনা সভায় ডাকা হয় শিশু কিশোর একাডেমি, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমি, রাজ্য চারুকলা পর্ষদকেও। সেখানে ১ বৈশাখ সহ একাধিক তারিখ উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করার জন্য।

জয় গোস্বামী বলেন, ২০ জুন প্রতিষ্ঠা দিবস পালন নিয়ে মমতা যে আপত্তি করছেন সেটা একদম ঠিক। তিনি আমাদের যে পরামর্শ দেবেন তা মেনে চলতে আমি অন্তত প্রস্তুত।

নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর রাখির প্রচলন করেছিলেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটার সূচনা হয়েছিল। শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন তাঁর ওই রাখি সমস্ত বাংলাদেশ মেনে নিয়েছিল। ওপার বাংলা এবং এপার সব জায়গার মানুষই এটা মেনে নিয়েছিল। তাই সেই স্মৃতিতে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে রাখির দিনটাকে রাখা যেতে পারে বলে আমার মনে হয়। তাহলে ইতিহাস ও সেই সময়ের মানুষের বেঁধে বেঁধে থাকার স্মৃতিটাকেও ধরে রাখা যাবে।