পুজোর পরেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন: TMCP’র মঞ্চে বার্তা মমতার

0
1

দীর্ঘ ৬ বছর পর এবার রাজ্যের কলেজ(College) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে(University) হতে চলেছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সোমবার তৃণমূল ছাত্রপরিষদের(TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ সে বিসয়ে বার্তা দিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। জানিয়ে দিলেন পুজো মিটলেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। পাশাপাশি এই নির্বাচনকে ঘিরে কোনওরকম হিংসা ও অশান্তি আটকাতে কড়া বার্তাও দিলেন দলনেত্রী।

সোমবার তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভামঞ্চ থেকে ছাত্রসংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বার্তা দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ইলেকশন করিয়ে দেব। পুজো-টুজো মিটে যাক। কারণ একটা বিল সংশোধন করতে হবে। সেন্ট জেভিয়ার্সের কায়দায় যে বিল করা আছে, সেটা রাজনৈতিক নির্বাচনের নয়। আগামী বিধানসভা অধিবেশনে ওই বিল সংশোধন করা হবে। পুজো ও উৎসবের পর্ব মিটে গেলে তারপর নির্বাচন হবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে।” এর পাশাপাশি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনওরকম হিংসা ও হানাহানি বন্ধ করতে কড়া বার্তা দিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলেজ রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক মারপিট আমি দেখেছি। ওরা গুন্ডামি করবে, কিন্তু প্ররোচনায় পা দেবেন না। আপনারা নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন, এটা কথা দিতে হবে। তাহলেই জেলায় জেলায় ছাত্র সংসদ ভোট করিয়ে দেব। ওরা এখনই ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিচ্ছে, এটা দিল্লি ভেবেছে। যাদবপুরে আমার স্বপ্ন হারিয়ে গিয়েছে, তাঁকে তো ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু ‘গোলি মারো’ স্লোগান যাঁরা দিয়েছে, আমি পুলিশকে বলেছি তাঁদের গ্রেফতার করতে।”

শুধু তাই নয় ছাত্র ভোটের গাইডলাইন বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দেন, “কলেজ পড়ুয়ারাই সংশ্লিষ্ট কলেজে নির্বাচন করবে। পুলিশকে বলব, কোনও বহিরাগতকে যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয় নাক গলাতে না দেওয়া হয়। স্থানীয় নেতারাও ছাত্রদের পাশে থাকবেন। পতাকা-ঝালমুড়ি কিনে দিয়ে সাহায্য করবেন। আমরা যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম, কেউ পাশে দাঁড়াত না। নবীন বরণের ব্যবস্থাও করে দিতে হবে স্থানীয় নেতাদের। আমাদের দলেও অনেক শিল্পী রয়েছেন, তাঁরা অনুষ্ঠানে গান করতে পারেন।” উল্লেখ্য, শেষবার রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেবার এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। হিংসা-হানাহানি বন্ধে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মতো অরাজনৈতিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনের চিন্তাভাবনা শুরু করে রাজ্য সরকার। সেই মোতাবেক বিধানসভায় বিল আনা হয়। কিন্তু তারপরও রাজ্যের কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি ভোট।