Gujrat: আদানিকে ৩৯০০ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে বিজেপি, অনিয়মের অভিযোগ কংগ্রেসের

0
1

এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোক আনলেন গুজরাত কংগ্রেস প্রধান শক্তি সিং গোহিল। তাঁর অভিযোগ, গুজরাতের বিজেপি সরকার দুটি পৃথক বিদ্যুৎ চুক্তির মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে আদানি পাওয়ার মুন্দ্রা লিমিটেডকে ৩,৯০০কোটি টাকার বেশি পাইয়ে দিয়েছে।

গুজরাত কংগ্রেস প্রধানের অভিযোগ, বিজেপি সরকার গুজরাটকে ক্রমশাই ‘আদানি সরকারে ‘পরিণত করে ফেলেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ কিছু নথি ও পরিসংখ্যান পেশ করে তিনি দাবি করেছেন, গুজরাত সরকারের একটি শক্তি সংস্থা (গুজরাত উর্জা বিকাশ লিমিটেড) চলতি বছরের মে মাসে আদানি পাওয়ার মুন্দ্রার কাছ থেকে ৩,৯০০ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছে। তার কারণ ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তাদের মধ্যে দু’টি শক্তি সংক্রান্ত চুক্তির জেরে সরকারি সংস্থাটি আদানিকে এই বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ দিয়েছিল। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে, গুজরাট সরকার কোম্পানির সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি লঙ্ঘন করে আদানি পাওয়ার মুন্দ্রা লিমিটেডকে ৩,৯০০কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রদান করেছে এবং এখন সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করছে, এই ভয়ে যে তারা ওই টাকা আর পরিশোধ করবে না।

গুজরাত কংগ্রেসের প্রধান শক্তিসিংহ গোহিল দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদেই এই দুর্নীতি। এটা জনগণের সম্পত্তি লুট করা । রাহুল গান্ধী যে সুবিধাবাদী পুঁজিবাদের কথা বলছেন এটা তার অকাট্য প্রমাণ।” গোহিল আরও বলেছেন, “বিষয়টি সামনে আসায় কর্মকর্তারা ভয় পাচ্ছেন। এখন টাকা উদ্ধারের জন্য আদানি পাওয়ার মুন্দ্রা লিমিটেডকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে আরটিআই দায়ের করা হলে বিষয়টি সামনে আসে। মোদ্দা কথা হলো, চুক্তির শর্ত না মানার পরও সরকার কেন পাঁচ বছর টাকা দিল?”

গুজরাতের বিজেপি সরকারের আদানি প্রেম তুলে ধরতে গিয়ে গোহিল উল্লেখ করেছেন যে, গুজরাত উর্জা বিকাশ নিগম লিমিটেড আদানি পাওয়ার মুন্দ্রা লিমিটেডের সাথে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, এই শর্তে যে আদানি ফার্মকে দেওয়া শক্তির শুল্ক ইন্দোনেশিয়া থেকে কেনা কয়লার দামের উপর ভিত্তি করে যুক্ত হবে। সঙ্গে আদানি ফার্ম কয়লা বিল এবং প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রর নথি জমা দেবে এবং যা আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্গাসের হারের সাথে তুলনা করা হবে। অথচ আদানি কোম্পানি যে হারে কয়লা সংগ্রহ করছে তা বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। যার উপরে ভিত্তি করে ইন্দোনেশিয়ার কয়লার ব্যবসা হচ্ছে।
গহিলের অভিযোগ, উপর থেকে নির্দেশ ছাড়া এটা ঘটতে পারে না. কে নির্দেশ দিলেন- মুখ্যমন্ত্রী না প্রধানমন্ত্রী?

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর নকসা করা ‘জয় বাংলা’ রাখি পাড়ি দিচ্ছে ভিনরাজ্যে