যোগীরাজ্যে স্কুলের অন্দরে ‘বিভাজনের বিষ’, প্রতিবাদে সরব তৃণমূল

0
3

ক্লাসের মধ্যেই শিক্ষকের(Teacher) নির্দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক পড়ুয়াকে মারছে গোটা ক্লাস। যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের স্কুলের এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা দেশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো প্রবিত্র জায়গায় এমন ঘৃণার বীজ বপন করায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠল তৃণমূল। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার। পাশাপাশি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় একই ভিডিও বার্তায় বলেন, “একজন শিক্ষক এক পড়ুয়াকে লাগাতার চড় মারার নির্দেশ দিচ্ছে অন্য পড়ুয়াদের। তাকে মারা হচ্ছে ধর্মের ভিত্তিতে। এই ধরনের কাজ দেশের সংবিধান বিরোধী। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের বিরোধী। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, এই ঘটনার পর ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের জন্য শিশু সুরক্ষা কমিশন বা স্থানীয় প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

ডেরেক ও’ব্রায়েন: উত্তরপ্রদেশে শিশুকে মারার ওই ঘটনা অত্যন্ত ভয়াবহ। চাপের মুখে পড়ে অবশেষে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে তাও আবার শুধুমাত্র ধারা ৩০৫ এবং ৩০৬ তে। যা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অত্যন্ত দুর্বল ধারা। এটা কী হচ্ছে? আসলে ঘৃণার কারখানা খোলা হয়েছে গোটা দেশে। আর এই কারখানার ম্যানেজার আর কেউ নন, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ।

কীর্তি আজাদ: ২০২৪ এর নির্বাচনের আগে আগুন লেগেছে। নূহতে কী ঘটেছে আমরা দেখেছি। এবার ডবল ইঞ্জিনের উত্তরপ্রদেশে যেভাবে বিদ্বেষ, হিন্দু মুসলিম বিভাজন ও এক ছোট বাচ্চাকে কিভাবে এক মহিলা শিক্ষক মার খাওয়াচ্ছে। একদিকে আমরা চাঁদে পৌঁছে গর্ব করছি, অন্যদিকে ব্রীজভূষনের মত লোক মহিলাদের উপর নির্যাতন করছে। তবে উত্তরপ্রদেশের ঘটনা সব কিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে, যেখানে হিন্দু পড়ুয়াদের দিয়ে মুসলিম শিশুকে মারা হচ্ছে। এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করে কীভাবে দেশের মধ্যে হিংসা ঘৃণার পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। শিশুটির বাবা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুক বা না করুক, সরকারের উচিৎ ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বের করা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।

কাকলি ঘোষ দস্তিদার (তৃণমূল সাংসদ): বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি এবার স্কুলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এতদিন এদের বিভাজন, রাজনীতি, জাতি, ধর্মের উপর চলছিল। এবার এরা শিশুদের উপরেও সেটা প্রয়োগ করছে। একজন শিক্ষক ক্লাসের অন্যান্য পড়ুয়াদের নির্দেশ দিচ্ছে এক মুসলিম পড়ুয়াকে মারার। এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার, নিন্দার ভাষা নেই। গতকাল কলকাতা এরা ‘গোলি মারো’ শ্লোগান দিয়েছে। এটা কোনওভাবে ঠিক নয়। আমাদের দেশ এক ছিল এবং সর্বদা এক থাকবে।

কুণাল ঘোষ (তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক): মুজফফর নগরের ঘটনা অত্যন্ত আপত্তিকর। স্কুল নিষ্পাপ শিশুদের জায়গা সেখানে শিক্ষক ছাত্রদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে জাতি ধর্ম বর্ণ নিয়ে আর একটি ছাত্রকে নিগ্রহ করতে। এটা শিক্ষা? এটা ধর্ম নিরপেক্ষতা? উত্তরপ্রদেশ কলঙ্কের কাজ করল। তৃণমূল এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।