যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু রহস্য নিয়ে উপাচার্যকে রিপোর্ট দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি (Internal Investigation Committee of the University)। সূত্রের খবর সেই রিপোর্ট র্যাগিংয়েই মৃত্যুর তথ্য সিলমোহর পেয়েছে। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রমাণ মিলেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও পড়ুয়ার মৃত্যুর ঠিক কী ভাবে হয়েছে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সেই নিয়ে ধোঁয়াশা কাটলো না। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১০০-রও বেশি জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে কমিটি। আগামী সপ্তাহে জমা পড়তে চলেছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তেরো জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্র মৃত্যুর জেরে জোরালো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর দাবি। শুক্রবার ISRO-র প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা শোনা গেছে রাজ্যপালের মুখে। পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর বাড়ির লোকজন র্যাগিয়ের অভিযোগই তুলেছিলেন। সেই মর্মে পুলিশের কাছে অভিযোগও করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টও সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তারপর তাঁকে বারান্দায় হাঁটানো হয়।
অন্যদিকে যাদবপুর কাণ্ডে কিংপিন সৌরভ চৌধুরীকে (Saurav Chowdhury) আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।