বিলকিস কাণ্ডে অপরা.ধীদের মুক্তিতে আপত্তি ছিল নিম্ন আদালতের, বলছি নথি

0
1

বিলকিস বানো(Bilkis Bano) গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় ১১ অপরাধীর মুক্তিতে আপত্তি জানিয়েছিল নিম্ন আদালত ও সিবিআই(CBI)। এই মামলার নথিপত্র পরীক্ষার পর এমনটাই জানালেন শীর্ষ আদালতের(Supreme Court) বিচারপতি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুইয়াঁর বেঞ্চ।

২০০২ সালে গুজরাটে(Gujrat) গোধরা পরবর্তী হিংসায় দেবগড় বারিয়ায় গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এক দোষী রাধেশ্যাম ভগবানদাস শাহকে মুক্তি দেওয়ার আগে সিবিআই এবং মুম্বই ট্রায়াল কোর্টের কি মতামত ছিল, তা জানতে এ সংক্রান্ত নথি তলব করেছিল শীর্ষ আদালত। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে সাজার মেয়াদ শেষে মুক্তির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেও পরে তা বদলানো হয়েছিল। বিলকিস বানোর গণধর্ষণ কাণ্ডে রাধেশ্যাম সহ ১১ অপরাধীর মুক্তি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলার শুনানিতে এমনটাই জানানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে মুম্বই ট্রায়াল কোর্টের বিচারক প্রথমে মুক্তির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করলেও ২০২২ সালে জুন মাসে বিষয়টি গুজরাট সরকারের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিলকিসকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে খুনের অভিযোগে ২০০৮ সালে মুম্বই ট্রায়াল কোর্ট রাধেশ্যাম-সহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল। এরপর গত বছরের ১৫ অগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিসকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার। মুক্তির পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই অপরাধীদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়। প্রবল বিতর্কের মাঝে পড়ে গুজরাত সরকার জানায় যে, জেলে ওই ১১ জন ধর্ষক এবং খুনি ‘ভাল আচরণ’ করেছেন, সে কারণেই তাঁদের সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে। যদিও প্রতিপক্ষ দাবি করে, ওই ১১ জন বিভিন্ন সময় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যখন জেলের বাইরে ছিলেন, তখনও তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। ১১ জনের মধ্যে ১০ জনই বিভিন্ন সময়ে প্যারোলের নিয়মভঙ্গ করেছেন।