সেনার পোশাকে সোজা ক্যাম্পাসে! পরিচয় জানতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের পুলিশের

0
3

ছাত্রমৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। তারমধ্যেই নয়া বিতর্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে। বুধবার সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কেন্দ্র অরবিন্দ ভবনের ভিতরে ঢুকতে দেখা যায় সেনার পোশাক পরিহিত (Army Cloths) ২০ জনকে। বৃহস্পতিবারই এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশ। পুলিশ আগেভাগেই জানিয়েছিল, এই মামলায় লালবাজারে (Lal Bazar) তলব করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। কিন্তু এই মামলায় শুধু রেজিস্ট্রারই নয় তলব করা হচ্ছে ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কেও। পাশাপাশি এশিয়ান হিউম্যান রাইট সোশ্যাইটি সংস্থার প্রধান কাজি সিদ্দিকি হোসেনকে তলব করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে এই মামলায় নোটিশ ধরাতে চলেছে লালবাজার।

লালবাজার সূত্রে খবর, কার অনুমতিতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ল তাঁরা, তা জানতেই সবাইকে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি যে সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে ২০ জন যুবক যুবতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন, সেই সংস্থার প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেনা বাহিনীর পোশাক পরে তাঁরা কীভাবে অরবিন্দ ভবনের কাছে পৌঁছল, কার অনুমতি ছিল তাতে, সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। যাদবপুর থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা করা হচ্ছে। গত বুধবার বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে কাজি সাদেক হোসেন নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল প্রবেশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। এঁদের প্রত্যেকেরই পরনে ছিল সেনাদের মতো পোশাক। মাথায় লাল টুপিতে লেখা ছিল ‘ভারতীয় সেনা’। ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় সেনার প্রতীকও। জানা গিয়েছে, ওই দলটি ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ (Asian Human Rights Society) নামে একটি সংস্থার। কাজি ওই সংস্থার সাধারণ সচিব। কাজিকে ইতিমধ্যেই এই মামলায় ডাকা হয়েছে।

এদিকে, যাদবপুর কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার আবাসিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী, ছিলেন ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতাও। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন তলায় যেখানে ঘটনা ঘটে, তার ওপরের তলায় থাকতেন ওই চার পড়ুয়া।