আরএসএস তথা বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপির যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানকে কেন্দ্র করে তুলকালাম। বিনা অনুমতিতে এই মিছিল করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাস্তায় মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এবিভিপি সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।এই ঘটনায় কাধিক এবিভিপি সমর্থককে আটক করে পুলিশ। গোলপার্ক, সাদার্ন এভিনিউ, যাদবপুর মোড় থেকে ধড়পাক়ড় করা হয়।
অন্যদিকে, এই মিছিলে এবিভিপি সমর্থকরা বড় বেশি উৎশৃঙ্খল ছিলেন। ছাত্রমৃত্যুতে দোষীদের শাস্তি চেয়ে র্যাগিংমুক্ত যাদবপুরের দাবিতে মিছিল করলেও তাঁদের স্লোগান নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই মিছিল থেকে তাঁরা “গোলি মারো সালো কো” স্লোগান দিতে থাকে। প্রতিবাদ মিছিলের নামে যাদবপুরে এবিভিপি কার্যত নৈরাজ্য তৈরি করতে এসেছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তাদের এই স্লোগান সম্পূর্ণভাবে উস্কানি ও ঘৃণামূলক বলে অভিযোগ শাসক দলের। গুন্ডামি এবং বাংলার শান্তি বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা।
এবিভিপি’র এই স্লোগান নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, কোন বিজেপি যাদবপুরে প্রতিবাদ করছে। যারা এদিন প্রতিবাদ করতে এসেছিল, গোটা দেশে তাদের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি র্যাগিংয়ের অভিযোগ। ইউজিসি’র রিপোর্ট উল্লেখ করে কুণাল বলেন, বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি র্যাগিং হয়। আর যারা র্যাগিং করে তারাই যাদবপুরে গোলি মারো সালো কো স্লোগান দিয়ে নৈরাজ্য তৈরি করছে। অবিলম্বে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
এদিকে এদিনই গোলপার্ক থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মোড় হয়ে যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে বিজেপি যুব মোর্চা। এই মিছিলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, যুব মোর্চা নেতা সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে একাধিক ছাত্র ও প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ধৃত সৌরভ চৌধুরী সহ সকলকে একের পর এক পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রচুর তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এমনকি ওই পড়ুয়াকে নগ্ন করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছিল বলেও আদালতে জানিয়েছে পুলিশ।