পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) মহিষাদল থানার চক গাজিপুর এলাকায় বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীকে ধর্ষণের (Rape)অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বুথ সভাপতি গোপাল দাসের (Gopal Das) বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলের এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মহিষাদল থানায় (Mohishadol Police Station)লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। আজ এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) বিরুদ্ধে তোপ দেগে একটি এক্স (টুইট) করা হয়। লেখা হয়, ‘নারী শক্তির কী উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত! মহিষাদলের বুথ সভাপতি গোপাল দাসের বিরুদ্ধে এক বিশেষ প্রতিবন্ধী মহিলার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ শুধুমাত্র বিজেপি নেতাদের বক্তৃতার সীমাবদ্ধ, বিজেপির গুন্ডারা নারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেই চলেছেন।’
গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে ছিলেন ওই বিশেষভাবে সক্ষম তরুণী । তাঁকে একা পেয়েই তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালান অভিযুক্ত বিজেপির বুথ সভাপতি । ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিজেপি নেতার এই কীর্তির প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র নিন্দা করেছে রাজ্যের শাসকদল। যেখানে বারবার বিজেপি নেতারা নারী শক্তির কথা রাজনৈতিক বক্তৃতায় বলেন, সেখানে বিজেপির গুণ্ডারা যে নারীদের ক্রমাগত অসম্মান করে চলেছেন তা নিয়ে দলের নেতৃত্বরা কেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বারবার ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অথচ রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে আর ভোটবাক্স ভরতে দেশের প্রধান মন্ত্রী ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-এর মিথ্যে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কথার যে আদৌ কোনও মূল্য নেই নিচু তলার কর্মীদের কাছে, এই নিন্দনীয় ঘটনায় তা ফের প্রমাণিত। কথার কথা হিসেবেই নারী শক্তি আর সম্মানের বুলি আওড়ান গেরুয়া শিবিরের কর্তারা। আদতে মহিলাদের যে তাঁরা বিন্দুমাত্র সম্মান দেন না, সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা- এমনটাই মত রাজ্যের শাসকদলের।