সিসিটিভি বসানো নিয়ে লাগাতার চাপের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন। নতুন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়ে দিলেন সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। তবে তিনি একইসঙ্গে বলে দেন, এ নিয়ে তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। সময় লাগবে।
সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের কোন কোন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসবে তা চিহ্নিত হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। বুধবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নয়া উপাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব বিচার করে একাধিক ‘পয়েন্ট’ চিহ্নিত হয়েছে যেখানে সিসি ক্যামেরা বসবে। এছাড়া যে জায়গাতে শুধু সিসি ক্যামেরায় কাজ হবে না বলে মনে করা হবে, সেখানে ক্যামেরার পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি নির্দেশিকা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হয়। কিন্তু ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার আগে পর্যন্ত বহু সময় ধরেই যাদবপুরে ক্যামেরা লাগানো হয়নি। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের একাংশের আপত্তি ছিল বলেই জানান হয়েছে। অবশ্য এখনও কিছু পড়ুয়া ক্যামেরা লাগানোর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে।
তবে কিন্তু গত ৯ আগস্টের ঘটনার পর এই সিসি ক্যামেরা না থাকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। তারপরেই যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ১৩ দিনের মাথায় শুরু হল ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া। মূলত মেন হস্টেল এবং অন্যান্য হস্টেলের মেন গেট ছাড়াও বিশেষ বিশেষ কিছু জায়গায় এই ক্যামেরা বসবে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র সংগঠন সিসি ক্যামেরা বসাতে দেয়নি বলেই বারবার অভিযোগ উঠেছে। যাদের দাপটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও কোণঠাসা হয়ে থাকত বলে অভিযোগ। সেখানে অবশেষে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
যাদবপুর ছাত্রমৃত্যু থেকে শিক্ষা নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যে নতুন অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন বুদ্ধদেব সাউও জানালেন, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডকে আরও সক্রিয় হতে বলা হবে।