“চন্দ্রযান-৩ অভিযান গোটা দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়৷ ইসরোর এই দল ভারতের৷ তাঁদের কঠিন পরিশ্রম ভারতের অগ্রগতির প্রমাণ, যা দেশের মানুষ, বিজ্ঞানী এবং অর্থনীতিবিদদের দ্বারা সম্ভব হয়েছে৷ কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জন্য নয়৷” এমনই টুইট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই খোঁচা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন দেশের মহান বিজ্ঞানীদের বছরের পর বছর গবেষণার ফসল এই চন্দ্রযান। সেই কৃতিত্ব একান্ত তাঁদের। কিন্তু মোদি যেন ভেবে না নেন, তাঁর জন্য এই সফলতা এসেছে। মোদি যেন চন্দ্রযানের সাফল্যে নিজের বিজ্ঞাপন না করেন।
শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, চন্দ্রযানের সাফল্য কামনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তবে তাঁরাও এই কৃতিত্ব বিজ্ঞানী ও দেশবাসীকে দিচ্ছেন। একটি টুইটে কুণাল
মনে করিয়ে দিয়েছেন, এর আগেও সফল চাঁদ অভিযান হয়েছিল ইসরোর। তিনি লেখেন, “আজ চন্দ্রাভিযান সফল হোক। এটা দেশের গর্ব। তবে সেই সঙ্গে মনে রাখুন, আজই প্রথম নয়। ২০০৮ সালের ১৪ নভেম্বর ভারতের প্রথম সফল চাঁদ অভিযানটি হয়েছিল। নেমেছিল এই দক্ষিণ মেরুতেই। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে।”
অন্যদিকে, চন্দ্রযান-৩ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ পুরমন্ত্রীর।
ইতিহাস তৈরির দুয়ারে দাঁড়িয়ে চন্দ্রযান-৩। সাফল্য শুধু নয়, নজির তৈরি হবে যখন এই মহাকাশযানটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে। কিন্ত তার সাফল্য চুরি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বলা বাহুল্য, নাম না করে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করলেন। তিনি মন্তব্য করেন, “বিজ্ঞানের উন্নতি কখনও ৫ বছর বা ১০ বছরে হয়ে যায় না। যুগ যুগ ধরে কাজ করে ইসরো আজ এই জায়গায়। এই সাফল্য বিজ্ঞানীদের। কিন্তু অনেকেই আছে সেই কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করে। আমরা চাইবো যেন এক্ষেত্রে তেমন না হয়।”