মেইন হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিক্ষোভ, প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর জোরালো দাবি জানানো হয়েছিল। কর্তৃপক্ষকে ১০দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল যাদবপুরের টিএমসিপি ইউনিট। অবশেষে সিসিটিভি বসছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম পর্যায়ে মেইন ক্যাম্পাসের ৫ গেট-সহ দশ জায়গায়। বাদ যাবে না মহিলা হস্টেল ও সেকেন্ড ক্যাম্পাসের গেটও।
ইউজিসি নির্দেশিকার অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক। গতকাল, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের অধ্যাপক, অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির সদস্যরা। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। তারপরই এমন সিদ্ধান্ত।
এদিকে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোয় আপত্তি তুলেছে যাদবপুরের স্বঘোষিত মাওবাদী বলে দাবি করা পড়য়াদের একাংশ। কিন্তু তাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করে।এদিন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, ”প্রাথমিকভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইসি-তে বিষয়টি চূড়ান্ত করে নেওয়া হবে। আপাতত ইউজিসি নির্দেশিকা মেনে আমরা প্রত্যেকটা গেটে, পাঁচটা গেট আছে আর প্রত্যেকটা হস্টেলে ঢোকার মুখে, সমস্ত বিভাগে, প্রতি ফ্লোরে সিসিটিভি বসাচ্ছি। কাজ এই সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে”। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র সিসিটিভি নয়, ক্যাম্পাসের গেটে বসানো হবে বিশেষ যন্ত্র। যে গাড়িগুলি ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকবে, সেই গাড়ির নম্বর ওই যন্ত্রের মাধ্যমে স্ক্যান হয়ে রেকর্ডে থাকবে।
আরও পড়ুন- ডায়মন্ড হারবারে মিনিবাস ও অটোর মুখোমুখি সং.ঘর্ষ! মৃ.ত ২, আশঙ্কা.জনক আরও ৫