নির্যাতিতার সঙ্গে সাক্ষাতে অনড়, হাসপাতালের মেঝেয় রাত কাটালেন স্বাতী মালিওয়াল

0
2

হাসপাতালে(Hospital) নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না দিল্লি পুলিশ(Delhi Police)। এমনকি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না দিল্লি পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠলেন দিল্লির মহিলা কমিশনের(DWC) প্রধান স্বাতী মালিওয়াল(swati maliwal)। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার দেখা করতে না দেওয়ায় হাসপাতালের মেঝেয় শুয়ে রাত কাটালেন তিনি। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল বলেন, “দিল্লি পুলিশ গুন্ডাগিরিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তারা নির্যাতিতা এবং তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকেও তো নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বুঝতে পারছি না, দিল্লি পুলিশ আমার কাছ থেকে কী লুকোতে চাইছে!” এর পরই মালিওয়াল প্রশ্ন তোলেন, শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে যদি দেখা করতে দেওয়া হয়, তা হলে তাঁকে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে? জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর থেকে হাসপাতালে ঠায় অপেক্ষা করছেন স্বাতী। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষন না নির্যাতিতা ও তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন ততক্ষন হাস্পাতাল থেকে এক পাও নড়বেন না। একইসঙ্গে জানান, “নির্যতিতাকে সব রকম ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে কি না আমি জানতে চাই। ওর চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে কি না, তা-ও জানতে হবে।”

উল্লেখ্য, বন্ধুর ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণে অভিযোগ উঠেছে দিল্লির(Delhi) নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের আধিকারিক প্রেমদয় খাকার বিরুদ্ধে । ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১৪ বছরের নাবালিকাকে বহুবার ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ওই আধিকারিক। যার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। এই ঘটনার পর মেয়েটিকে জোর করে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ান আধিকারিকের স্ত্রী। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে আধিকারিক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের নির্দেশে ওই সরকারি আধিকারিককে তাঁর পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিষয় জানাজানি হওয়ার পর গ্রেফতারি এড়াতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই আধিকারিক ও তাঁর স্ত্রী। যদিও শেষরক্ষা হয়নি।