উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালকেও পার্টি করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

0
1

রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রবিবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সোমবার বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মামলার সব পক্ষকে নোটিস দিতে হবে। দু’সপ্তাহ পরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।

আরও পড়ুনঃ যাদবপুরে VC নিয়োগ মামলায় রাজ্যপালকে ‘পার্টি’ করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
কল্যাণী, বর্ধমান, কাজী নজরুল, কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য, সেই পদের বলেই এই নিয়োগ করেন তিনি।প্রথম থেকেই রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এক তরফা’ ভাবেই রাজ্যপাল এই নিয়োগ করছেন। এই নিয়ে রাজ্য ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছে। এই নিয়োগ অবৈধ বলেও দাবি করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়। উপাচার্য নিয়োগ বাতিলের আবদেন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন অধ্যাপক সনৎকুমার ঘোষ। যদিও হাইকোর্ট এই মামলার আবেদন খারিজ করে দেয়। সেইসঙ্গে রাজ্যকে নব নিযুক্ত উপাচার্যদের বেতন-ভাতা দিতে বলে আদালত। তারপরও এই নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, এই সময়ের মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষ আলোচনায় বসে সমাধানসূত্র বার করা যায় কি না দেখবে। তবে আংশিক সময়ের অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ নিয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। আপাতত হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল থাকবে।
এই মামলায় বিচারপতি সূর্যকান্তের পর্যবেক্ষণ, “স্থায়ী উপাচার্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘ দিন চলতে পারে না।উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষ কি একসঙ্গে কাজ করতে পারবে না? উপাচার্য নিয়োগে আচার্য না রাজ্য, কে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, এখন আমরা সেই বিচার করছি না। আপাতত অস্থায়ী উপাচার্যেরা কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন। কিন্তু কী ভাবে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা যাবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”