যাদবপুর কাণ্ডের ছায়া কাকদ্বীপে! দশম শ্রেণির পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃ.ত্যুতে চা.ঞ্চল্য

0
1

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছায়া এবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কাকদ্বীপে (Kakdwip)। এবার ১৫ বছরের এক স্কুলপড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশ সূত্রে খবর, হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার স্টিমারঘাট এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্র। গত ১৬ জুলাই বাড়ির মধ্যে থেকে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই দুই সিনিয়র পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। পরে ওই ছাত্রকে দিয়ে পা ধরে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিয়োও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, সিনিয়র ওই দুই ছাত্রের অত্যাচারের অতিষ্ঠ হয়েই চরম সিদ্ধান্ত নেয় পড়ুয়া। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

তবে গত ১৬ জুলাই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এরপরই মৃত ছাত্রের পরিবার ২৭ জুলাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু এতদিন কেটে গেলেও কোনও অভিযুক্তই ধরা পড়েনি বলে খবর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরে লেখাপড়া করত ওই পড়ুয়া। তাঁর মা জানান, খুবই মেধাবী ছিল ছেলে। কিন্তু তাঁকে প্রায়ই স্কুলে উত্যক্ত করত দুই সিনিয়র ছাত্র। তিনি আরও জানান, জুলাই মাসের শুরুতে জুলুম চরমে ওঠে। প্রতিবাদ করায় দুই সিনিয়রের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ছেলেকে। এরপরেই ওদের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করানো হয়। সেই ভিডিও একাধিক সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে। স্কুলে যেতেও ভয় পাচ্ছিল।

পুলিশ সাফ জানিয়েছে, গত ২৭ জুলাই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে উঠে এসেছে প্রেমঘটিত কারণেই সমস্যার সূত্রপাত। ক্লাসেরই একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মৃত ছাত্রের। পরে ক্লাস ইলেভেনের একটি ছেলের সঙ্গে ওই মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাই নিয়েই দুই ছাত্রের মধ্যে গন্ডগোলের সূত্রপাত। তবে খুব শীঘ্রই আসল সত্য সামনে আসবে।