পাক মন্ত্রী হয়ে চর্চায় তিহারে জেলবন্দি ইয়াসিনের স্ত্রী মুশাল, প্রকাশ্যে প্রেম কাহিনী

0
1

জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের(Yasin Malik) বর্তমান ঠিকানা তিহার জেল। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন বা ইউএপিএ(UAPA)-র একাধিক ধারায় অভিযুক্ত এই জেকেএলএফের নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এরইমাঝে এক তথ্য প্রকাশ্যে এল যা রিতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মুশাল হুসেন মালিক(Mushaal Hussein Mullick)কে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করেছে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার। জঙ্গি সংগঠনের সদস্য জেলবন্দি ইয়াসিনের স্ত্রীকে মুশালকে মানবাধিকার বিষয়ক দফতরের উপদেষ্টা করায় স্বভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভারত-বিরোধী মানসিকতা এবং মন্তব্যের জেরে মুশাল প্রায়ই শিরোনামে থাকেন। অবশ্য এরইমাঝে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে তাঁদের প্রেম কাহিনী।

জানা যাচ্ছে, ইয়াসিন ও মুশালের প্রেম কাহিনী একেবারে সিনেমার গল্পের মতো। ২০০৫ সালে ইয়াসিনের সঙ্গে আলাপ হয় মুশালের। ২০০৫ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। সেখানেই মুশালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। মঞ্চে ইয়াসিনের ভাষণ শুনে মুগ্ধ হয়ে যান মুশাল। বক্তৃতা শেষে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে ও অটোগ্রাফ নিতে যান ইয়াসিনের সঙ্গে। সেখান থেকেই আলাপ। এরপরে প্রেম। বয়সের বিশাল ব্যবধান থাকলেও তাতে প্রেম আটকে থাকেনি। ২০০৯ সালে ২৩ বছরের মুশালের সঙ্গে বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়েন ৪২ বছরের ইয়াসিন। ইসলামাবাদে তাঁদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের নেতা-মন্ত্রীরা। এমনকী, তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিতও করা হয়। বর্তমানে তাদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।

কিন্তু কে এই মুশাল? ইয়াসিনের স্ত্রী এবং পাকিস্তানের নব মনোনীত মন্ত্রী ছাড়াও অন্য পরিচয় রয়েছে মুশালের। তাঁর জন্ম পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। তাঁর মা রেহানা হুসেন ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লিগের মহিলা সংগঠনের সদস্য। পরে মহিলা সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হন তিনি। মুশালের বাবা এম এ হুসেন ছিলেন অর্থনীতির অধ্যাপক। নোবেল পুরস্কার জুরি কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। তিনিই ছিলেন প্রথম পাকিস্তানি, যিনি নোবেল পুরস্কার জুরি কমিটির সদস্য হন। মুশালের দাদা আমেরিকায় অধ্যাপনা করেন। মুশাল নিজেও পড়াশোনা করেছেন অর্থনীতি নিয়েই। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স (এলএসই) থেকে স্নাতক তিনি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন মুশাল। তবে ছবি আঁকার দিকে তাঁর ঝোঁক ছিল বেশি। বর্তমানে মুশাল নিজের পরিচয় দেন চিত্রশিল্পী হিসাবেই। তাঁর ছবিতে বেশি জায়গা পেয়েছে নারী চরিত্রেরা। তাঁর বিশেষত্ব নারী শরীরের ছবি আঁকা। কাশ্মীরকেও বার বার নিজের ক্যানভাসে জায়গা দিয়েছেন মুশাল। অনাবৃত নারী শরীর আঁকার জন্য বহু বার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মুশালকে। প্যাস্টেল, কাঠকয়লা দিয়ে ক্যানভাসে ছবি আঁকা ছাড়াও ‘গ্লাস পেইন্টিং’ও করেন মুশাল।