“নৃ.শংস-অ.ত্যাচারী বাম-অতিবাম ছাত্র সংসদ”, যাদবপুরে মৃ.ত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে টিএমসিপি

0
3

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। কিছু প্ৰাক্তনী ও বর্তমান পড়ুয়াদের অমানবিক শারীরিক ও মানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অকালে ঝড়ে পড়েছেন বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবরকম ভাবে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাঁর নির্দেশে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করে এসেছে। ঘটনার জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে সরাসরি বাম-অতিবাম ছাত্রদের নিশানা করে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে আন্দোলন, প্রতিবাদ, ধর্ণা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি লাগানো সহ একাধিক দাবিতে সরব হয়েছে টিএমসিপি। এবার মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী, রাজন্যা হালদার, সঞ্জীব প্রামানিক আরও অনেকে।

পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজন্যা বাম ও অতিবাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠনকেই ঘটনার জন্য দায়ী করেন। বাম সমর্থিত ছাত্র ইউনিয়নকে ”নৃশংস অত্যাচারী” বলে দাবি তাঁর। রাজন্যার কথায়, “আমরা জানতাম না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এইভাবে নিয়মিত র‍্যাগিং চলে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়নের দায়িত্বে রয়েছে বাম সমর্থিত সংগঠন। তারা যে এত নৃশংস অত্যাচারী সেটা কল্পনা করা যায় না।”

তাঁর আরও সংযোজন, “বাম ও অতিবাম সমর্থকরা এত নৃশংস হতে পারে সেটা আমরা জানতাম না। সেই কারণে তারা সিসিটিভি পর্যন্ত লাগাতে দিচ্ছে না। এত বড় স্পর্ধা তাঁদের। ইউনিয়নের দায়িত্ব থাকা সদস্যরা যে অমানবিকতার কাজকর্ম করে সেগুলো যাতে সবার নজরে না আসে সেই কারণেই তারা বাধা দিচ্ছে সিসিটিভি লাগাতে।তবে আমাদের প্রতিবাদ চলবে, যাতে র‍্যাগিং বন্ধ করা যায়, সেই আন্দোলন আমরা চালিয়ে যাব।”

আরও পড়ুন- ‘শীর্ষ আদালতের বিরোধিতা করতে পারেন না’, গুজরাট হাই কোর্টকে ভর্ৎ.সনা সুপ্রিম কোর্টের