যাদবপুরকাণ্ডে পুতুল নিয়ে পুনর্নির্মাণে হস্টেলে ফরেন্সিক দল

0
3

ফের যাদবপুর কাণ্ডে পুনর্নির্মাণ। এবার যাদবপুরে প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে ওই বারন্দা থেকে পুতুল ফেলে পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। সোমবার ওই পড়ুয়ার একটি প্রতীকী পুতুল তৈরি করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা যাদবপুরের মেন হস্টেল অর্থাৎ ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। হস্টেলে তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই পড়ুয়ার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন তলার বারান্দা থেকে ওই পুতুল নীচে ফেলে করা হচ্ছে পুনর্নির্মাণ। সায়েন্টিফিক উইং, ফরেন্সিকের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতেই এই পুনর্নির্মাণের কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, এদিন এই ঘটনায় যাদবপুর থানায় ডিসি ও এসএসডি-র নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। তদন্তে আগামীর রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বৈঠকে আছেন ডিসি এসএসডি সহ এসি ব়্য়াঙ্কের আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে আইও, ওসি হোমিসাইডে সহ একাধিক তদন্তকারী অফিসারেরাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে যাদবপুর-কাণ্ডে ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে তলব করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। সোমবার সল্টলেকের অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। গত ৯ অগাস্ট রাতে ফোন পেয়ে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন,  কাকে ফোন করেছিলেন, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসির র‌্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশাবলি অমান্য করার কারণও দর্শাতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন।

যাদবপুর-কাণ্ডে ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। দফায় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশের দাবি, তাদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। নিজেদের বাঁচাতে বারবার বয়ান বদল করছে। পুলিশের স্ক্যানারে এক পড়ুয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। কী ঘটেছিল ওই রাতে, তা জানতে হস্টেলের এক আবাসিক ছাত্রের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

যদিও আদালতে যাওয়ার পথে রবিবার পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে সাংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে চিৎকার করে এক ধৃত ছাত্র জানান, তাদের ফাসানো হচ্ছে। হস্টেলে কোনও র‌্যাগিংই হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। ওই ছাত্রের নাম সৌরভ চৌধুরী। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তাঁকেই প্রথম গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।এখন দেখার এই পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে কত দ্রুত প্রকৃত চিত্র সামনে আসে।