একাধিক সুপারিশ-সহ মণিপুর নিয়ে শীর্ষ আদালতে জমা পড়ল রিপোর্ট

0
4

মণিপুর(Manipur) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন বিচারপতি গিতা মিত্তালের নেতৃত্বে ৩ প্রাক্তন মহিলা বিচারপতির কমিটি গঠন করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সোমবার জমা পড়ল সেই রিপোর্ট। যেখানে মণিপুরের অবস্থা সামাল দিতে শীর্ষ আদালতের(Supreme Court) কাছে একাধিক সুপারিশ করেছেন কমিটির সদস্যারা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মণিপুরের দুর্গতদের ত্রাণ-পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্পে বদলের সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে রায় দেবে সুপ্রিমকোর্ট।

চলতি মাসের ৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দিয়েছিলেন, অশান্ত মণিপুরে ত্রাণ, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের মতো বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির শীর্ষে থাকবেন জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি গিতা মিত্তাল। এছাড়া বম্বে হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শালিনী ফানসালকর জোশী। থাকবেন দিল্লি হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আশা মেনন। কমিটি গঠনের ১৪ দিনের মাথায় হিংসাদীর্ণ মণিপুর নিয়ে সোমবার ৩ টি রিপোর্ট জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। রিপোর্ট প্রসঙ্গে আদালত জানায়, “মণিপুরের হিংসায় পীড়িতদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে মণিপুরের দুর্গতদের ত্রাণ-পুনর্বাসনের জন্য যে আর্থিক সহায়তা ধার্য করা হয়েছে, তার পরিমাণ বাড়ানোর উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, অনেকেরই প্রয়োজনীয় নথিপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাদের পুনরায় সেই সমস্ত নথি বানিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নোডাল অফিসার নিয়োগের কথাও বলা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত ৪ মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতি সংঘর্ষে জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। প্রায় দিনই সে রাজ্য থেকে সংঘর্ষ ও রক্ত ঝরার খবর মিলছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে মণিপুরবাসীদের। ফলে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারে বারে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।