যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। এবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। যা শুনে রীতিমতো হাড়হিম হওয়ার মতো অবস্থা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হস্টেলের (Hostel) জানালার ধারে দাঁড়িয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রকে চিৎকার করে কুরুচিকর মন্তব্য করতে বাধ্য করা হয়েছিল। পাশাপাশি অশ্লীল গালিগালাজ করতেও নাকি চাপ দেওয়া হয় মৃত পড়ুয়াকে। তবে প্রথমে কুকথা বলতে অস্বীকার করে ওই ছাত্র। তারপর আস্তে আস্তে সিনিয়রদের কথা মেনে নেয়। নিচু গলায় পুরোটা বলতে বাধ্য হয় সে।
তবে পড়ুয়ার এমন টোন পছন্দ হয়নি সিনিয়র দাদাদের। এরপর জানলার সামনে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে গালিগালাজ করতে বাধ্য করা হয় পড়ুয়াকে। এদিকে হস্টেলের জানলার উল্টো দিকেই রয়েছে আবাসন। আর এই পরিস্থিতির সঙ্গে একেবারে অভ্যস্ত না থাকায় একেবারে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন নদিয়া থেকে পড়তে আসা ওই পড়ুয়া। তবে এখানেই শেষ নয়। এরপর আসে দ্বিতীয় পর্ব। বাধ্য হয়ে ডিনকে পুরো বিষয়ের কথা জানায় প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। এরপরই ছাত্রকে দিয়ে জোর করে চিঠি লেখানোর চেষ্টা শুরু হয়। পরে অন্য ছাত্রকে দিয়ে চিঠি লিখিয়ে তারপর জোর করে ছাত্রকে দিয়ে সই করতে বাধ্য করানো হয়। যাতে আরও মানসিক চাপে পড়ে ওই পড়ুয়া।
এরপর তৃতীয় পর্যায়ে ওই ছাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার গার্লফ্রেন্ডের নাম। এরপর গার্লফ্রেন্ড নেই বলা মাত্রই ছাত্রের যৌন পরিচয় নিয়ে শুরু হয় জোর টিটকিরি। পাশাপাশি ছাত্রকে বিবস্ত্র হতে জোর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে একটা ঘরে ঢুকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করে ওই ছাত্র। এমনকি মাকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে সে। তবে ওই ছাত্রের সঙ্গে সেই রাতে কী হয়েছে, সেই বিষয়ে পড়ুয়াদের থেকে পাওয়া তথ্য এই মুহূর্তে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যাদবপুরকাণ্ডে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রাক্তনী। ধৃতদের পাশাপাশি মেন হস্টেলের অন্য আবাসিকদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।