৬ গোল করেও বিদায় মহামেডানের, অল্পের জন্য বাঁচল মোহনবাগান

0
1

হাঁফ ছেড়ে বাঁচল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।কলকাতা লিগে হারের পর, ডুরান্ড কাপ থেকেও ছিটকে যেতে পারত সবুজ-মেরুন। তবে হলো না। রবিবার জামশেদপুর এফসিকে ৭-০ গোলের ব্যবধানে হারাতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যেতে পারত মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে অল্পের জন্য সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারল না মেহেরাজউদ্দিন ওয়াডুর ছেলেরা। ৬-০ গোলে জিতলেও পরের রাউন্ডে যাওয়া হল না সাদা-কালো ব্রিগেডের। তবে রবিবার সন্ধ্যার খেলায় অসাধ্য সাধন করতে চলেছিলেন সামাদ আলি মল্লিকরা। শেষদিকে কিছু আক্রমণ করে জামশেদপুরও। তবে ব্যবধান কমাতে পারেনি তারা।

ডুরান্ডের নক আউট পর্বে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি জয়ের পর পাঞ্জাব এফসিকে হারানোয় শেষ আটের দরজা খুলে ফেলে কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। সমস্ত গ্রুপ মিলিয়ে সেরা দুই দল হিসেবে নকআউট পর্বে পৌঁছনোর সম্ভবনা বেশি ছিল মোহনবাগান এবং নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। জামশেদপুর এবং মহামেডানের কাছেও সুযোগ ছিল নকআউট পর্বে ওঠার। তবে সেই জন্য বড় ব্যবধানে জিততে হত দুই দলকে। কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় খেলতে নেমেছিল সাদা কালো বাহিনী। আর প্ৰথম থেকেই গোল বন্যায় ভাসিয়ে দেয় মহামেডান। প্রথম থেকেই গোল পেতে থাকে মেহেরাজের ছেলেরা। ১০ মিনিটে কাসিমভের এসিস্ট থেকে মহামেডানকে প্রথমে এগিয়ে দেন সাঙ্গা। ১৬ মিনিটে রেমসাঙ্গা দ্বিতীয় গোল করেন। ডেভিড ২৮ মিনিটে ৩-০ করে দেন। প্রথমার্ধে ৩-০ এগিয়ে থাকে সাদা-কালো ব্রিগেড।

খেলা যত এগচ্ছিল ততই যেন চাপ বাড়ছিল মোহনবাগানের। কোয়ার্টার পৌঁছাতে গেলে মহামেডানকে দ্বিতীয়ার্ধে আরও চার গোল দিতে হত। ডেভিড আরও তিনটি গোল করে যান ৬৯, ৮১ এবং ৮৯ মিনিটে। শেষ লগ্নে আরও একটা গোল করলেই মহামেডানেই ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ত। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি মহামেডান সমর্থকদের। তবে এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ বহুদিন দেখা যায়নি ডুরান্ড কাপে। ম্যাচ শেষে নিশ্চিত ভাবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন জুয়ান ফেরান্দোর দল।

আরও পড়ুন:প্রকাশিত হল আসন্ন একদিনের বিশ্বকাপের ম্যাসকট