ভিনরাজ্যে মৃ.ত কলকাতার কিশোরীর পরিবারকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর, প্রয়োজনে CID তদন্তের আশ্বাস

0
1

যাদবপুরকাণ্ডের (Jadavpur University) মধ্যে সামনে এলো আরও এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর খবর। ভিন রাজ্যে পড়তে গিয়ে এবার কলকাতার এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সামনে এলো। পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগ তাঁদের মেয়ে বছর ষোলোর রীতি সাহাকে (Riti Saha) খুন করা হয়েছে। রবিবার ফোন করে রীতির বাবাকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে রীতির বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোন কথা হয়েছে। সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, যা যা করার দরকার করা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান ঠিক কী হয়েছিল? প্রয়োজনে সিআইডি তদন্তের নির্দেশও তিনি দিয়েছেন বলে জানান রীতির বাবা। পাশাপাশি রাজ্য থেকে একটি তদন্তকারী দল বিশাখাপত্তনমে যাবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো টালিগঞ্জে মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Bishwas)। সেখানে পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ফোনে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথাবার্তাও হয়। এরপরই সাংবাদিকদের মন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অরূপ সাফ জানান, মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে রাজ্য থেকে তদন্তকারী দল বিশাখাপত্তনমে যাবেন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেই মেয়েকে ভিন রাজ্যে পাঠিয়েছিল পরিবার। প্রস্তুতি চলছিল বিশাখাপত্তনমের (Visakhapattanam) একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এরপরই আচমকা মর্মান্তিক পরিণতি কলকাতার অভিজাত ইংরাজি মাধ্যম স্কুল থেকে পাশ করা বছর ষোলোর রীতি সাহার। সূত্রের খবর, গত ১৪ জুলাই রীতির বাবাকে ফোন করে এই প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয় মেয়ে চার তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। যদিও ওই ফোনেই হোস্টেলের ওয়ার্ডেন জানান ছাদ নয়, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে। খবর পেয়েই পরের দিন সকালে বাবা-মা আর দিদি পৌঁছে যান ভাইজ্যাকে।

সেখানে পৌঁছে তাঁরা দেখেন প্রায় বিনা চিকিৎসায় পড়ে রয়েছে রীতি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা মেয়েকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হতে গিয়েছে। শেষ রক্ষা আর হয়নি। ১৬ তারিখ দুপুরেই মেয়ে মারা যায় রীতি। পরিবার সূত্রে খবর, মেয়ে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ভাইজ্যাকে তাঁদের পরিচিতরা হাসপাতালে গিয়েছিলেন।