শুভেন্দু যেতেই যাদবপুরে অশা.ন্তির আ.গুন, বিজেপির বহিরাগতদের সঙ্গে বাম ছাত্র সংগঠনের সং.ঘর্ষ

0
1

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হঠাৎ মনে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই ঘোলাজলে মাছ ধরতে আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপির শাখা সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভে তিনি হাজির। সমবেদনা বা প্রতিবাদ নয়, ছাত্রমৃত্যু নিয়ে রাজনীতির ফসল তোলার উদ্দেশ্যেই এদিন যাদবপুরে এসেছিলেন শুভেন্দু। তবে এদিনের সভায় বিজেপিপন্থী ছাত্রযুবদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বরং, বিজেপির ক্যাডাররা জমায়েত করেছিল। সেটাও সংখ্যায় খুবই কম।

এদিকে শুভেন্দু মানেই অশান্তির আগুন। শুভেন্দু আর অশান্তি একই কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। এদিন মূল ইস্যুর ধারে কাছে না গিয়ে বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উস্কানিমূলক ভাষণ দেন তিনি। আর শুভেন্দুর সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্টের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

বিজেপির অভিযোগ, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রতিবাদ সভা করছিল। হঠাৎ শুভেদু অধিকারী বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে দেখে কালো পতাকা দেখান বাম ছাত্র সংগঠন রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্ট বা আরএসএফ-এর সদস্যরা। বচসা থেকে দু’পক্ষের ছাত্ররা মারধরে জড়িয়ে পড়ে। পাল্টা হিসেবে আরএসএফ নেতৃত্বর অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই এদিন কর্মসূচি শেষে হামলা চালিয়েছে এবিভিপি। শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই হানলা চালায়। বিজেপি। ঘটনায় দু’পক্ষের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় ঘটনাস্থলে।

অন্যদিকে, ৮বি বাস স্ট্যান্ডের পাশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দ্বিতীয় দিনের ধর্ণা কর্মসূচি নির্বিঘ্নেই চলছে। জমায়েত সংখ্যার বিচারে এদিন এবিভিপি-কে টেক্কা দিয়েছিল টিএমসিপি।