যাদবপুর কাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আচমকাই প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেলে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন এমএসভিপি বা উপাধ্যক্ষ। কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। ব়্যাগিং রুখতে তৈরি করে দিলেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছেন খোদ প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি ও ফ্যাকাল্টি অফ স্টুডেন্ট ডিনও।এমনকী, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সাহস জোগাতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন এমএসভিপি।
যাদবপুরের মেন হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমত্যু ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য।বুধবার সন্ধেয় বৈঠকে বসেছিলেন মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্যরা। সেখানেই ঠিক হয়, শুধু রোগী নয়, যারা ভবিষ্যতে রোগীর চিকিৎসা করবেন, তাদের দিকেও নজর রাখতে হবে। তাই হস্টেলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই কারণে হস্টেলে সারপ্রাইজ ভিজিট করবেন এমএসভিপি।
এই সিদ্ধান্তের পরই গিরিবাবু লেনের প্রথম বর্ষের হস্টেল থেকে সেই কাজ শুরু করেন তিনি।দিন কয়েক আগে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা ভর্তি হয়েছেন। এই আবহে হস্টেলে হস্টেলে সারপ্রাইজ ভিজিট শুরু করল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন মে়ডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি ডাঃ অঞ্জন অধিকারী।
সেই পদক্ষেপের মধ্যে আছে, প্রথম বর্ষের ১৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।গ্রুপে রাখা হয়েছে প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি ও ফ্যাকাল্টি অফ স্টুডেন্ট ডিনকে।সিনিয়রদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াড।সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ফেস্টের জন্য জোর করে চাঁদা তোলা যাবে না।
এবিষয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের আগাম সতর্ক করা হয়েছে।অনেক সময় দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারাও ব়্যাগিংয়ের শিকার হন। তাই শুধু প্রথম বর্ষের হস্টেল নয়, সিনিয়রদের হস্টেল-সহ মোট ১৭টি হস্টেল পরিদর্শন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।





































































































































